Header Image

সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সালেহ অসহায় মানুষের পাশে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

এই টানটাকেই হয়তো বলে মাটির মায়া। যত হাজার কিলোমিটার দূরেই অবস্থান হোক, নিজের দেশ ও গ্রাম বুকের ভেতরে নীরবে-নিভৃতে থেকেই যায়। যখনই সেই জন্মগ্রামে দুর্যোগ আসে, দুর্ভোগে পড়ে ইউনিয়নবাসী , বুকের অতল থেকে জেগে ওঠে সেই সবুজ-শ্যামল ইউনিয়ন। চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই সব মানুষের মুখ।

বলছি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া এ রকমই একটি গ্রাম। আর এ গ্রামেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা জনাব আবু সালেহ। একপাশে কুশিয়ারা নদী, অন্য পাশে বিস্তীর্ণ জলরাশির হাওর। তার মধ্যখানে এই ইউনিয়ন। আর ইউনিয়নের জনগণকে ভালোবাসেন আবু সালেহ। কিন্তু জীবিকার সন্ধানে আবু সালেহকে এই ইউনিয়ন থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের এক দেশে নিয়ে গেছে। থাকেন দুর প্রবাসে। নিশ্চিত এক জীবন। ইউনিয়নের দিকে না তাকালেও উনার কিছু যায়-আসে না। তবু ইউনিয়নটিকে তিনি ভোলেননি। ভোলেননি ইউনিয়নের মানুষকে। দূরে থেকেও করোনাভাইরাসের এই সংকটময় ও বন্যায় প্লাবিত পরিস্থিতিতে হাত বাড়িয়েছেন ইউনিয়নের মানুষের দিকে।

দেশের মানুষ, দেশের নানা ঘটনা থেকে তিনি অনেক দূরে। কিন্তু দেশটাকে কখনোই ভুলতে পারেন না। ভুলতে পারেন না জন্মগ্রহণ করা গ্রামটিকেও। নানা দৈবদুর্বিপাকে, মানুষের বিপদে-আপদে সব সময়ই হাত বাড়িয়ে থাকেন। ইউনিয়নের মানুষের মুখ কাজের অবসরে তাঁকে সব সময় তাড়া দেয়। সুযোগ পেলেই কিছু না কিছু নিয়ে সেই দূরত্ব তিনি ঘুচিয়ে ফেলেন।

সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণে মানুষ ঘরবন্দী, গ্রামবন্দী ও বন্যায় প্লাবিত, অনেকের কাজ নেই। অনেকের হাতে নগদ টাকা নেই। মানুষ কষ্টে আছে। বিভিন্ন মাধ্যমে তা তাঁর কানে পৌঁছা মাত্রই তিনি দেশে অবস্থানরত সমাজসেবীদের মাধ্যমে নগদ অর্থ পৌঁছে দেন হতদরিদ্র পরিবারের কাছে ।

এমনকি তিনি বিগত সময়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদে বিভিন্নভাবে আর্থিক সহায়তা ও গরীব ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ড্রেস, স্কুল ব্যাগ, খেলা দোলার সরঞ্জাম, এবং কি তিনি ছাত্রছাত্রীদের আরামদায়ক এর জন্য গরমের দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্যান লাগিয়ে দিয়েছেন। শুধুমাত্র একটাই কারণ যাতে হত-দরিদ্র পরিবারের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুল ড্রেস, ব্যাগ ও খাতা-কলমের অভাবে যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।

উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে আবু সালেহ আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার ছোট বেলা থেকেই মনে আসা ছিল জনগণের খেদমত করা, তাই আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী জনগণের পাশে আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ। বিশেষ করে জনগণের খেদমত করতে হলে জনপ্রতিনিধি হতে হয়। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ইউপি নির্বাচনে আমি আমার নয় নং কুলঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যানি নির্বাচন করবো। আমি আশাবাদী আমার ইউনিয়নের জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। আমি চাই আমার ইউনিয়নের জনগণ শান্তিতে বসবাস করুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!