Header Image

স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।

স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় মোক্ষপুর আ. মালেক দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, নিয়োগ ও স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সুপার মো. ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ২৯ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার বুধবার (২৪ মার্চ) হাসান সারুয়াদী হোসেন নিজে বাদী হয়ে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মোক্ষপুর আ. মালেক দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আ. মোতালেব সরকার গত ২০২০ সালে ১৪ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ওই মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্ব পান হাসান সারুয়াদী হোসেন। তিনি চলতি মাসের ১০ মার্চ মাদ্রাসার অডিট তথ্যাবলীর কাগজপত্র দেখতে পান। উক্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখে মাদ্রাসার সুপার অর্থাৎ মাদ্রাসার মো. ইসমাইল হোসেন সুপার পদে চাকরি আবেদন করেন। সে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখান দাখিল দ্বিতীয়, আলিম দ্বিতীয়, ফাজিল দ্বিতীয় এবং কামিল দ্বিতীয় শ্রেণি ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড হইতে পাশ করেন। মাদ্রাসায় ২৭ বছর সহকারী সুপার হিসেবে অভিগ্যতা দেখান সুপার মো. ইসমাইল হোসেন।

ওই সুপারের সকল অডিট রিপোর্টে কামিল তৃতীয় বিভাগ ১৯৮৭ সাল লেখেন। কিন্তু নিয়োগের সময় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সার্টিফিকেট তৈরি করে কামিল দ্বিতীয় বিভাগ ১৯৯২ সাল দেখিয়ে সুপার পদে নিয়মিত চাকরি করে আসছেন। গত ২০১৫ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর মাসে সুপার মো. ইসমাইল হোসেন তার নিজ স্বাক্ষরিত অডিট প্রতিবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা কামিল তৃতীয় বিভাগ ১৯৮৭ সাল দেখা মাত্রই মাদ্রাসার সভাপতি দায়িত্ব পাওয়া হাসান সারুয়াদী হোসেন ওই সুপারের কাগজপত্র দেখতে চাইলে সুপার মাদরাসার দায়িত্ব পাওয়া হাসান সারুয়াদী হোসেনকে প্রাণনাাশের হুমকি দিয়ে বের করে দেয়।

পরবর্তীতে হাসান সারুয়াদী হোসেন জানতে পারে মাদ্রাসার সুপার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য জেলা পরিষদ থেকে ৪ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দ পেয়ে পুরাতন ভবনে নতুন ফলক লাগিয়ে ৪ লাখ টাকা এবং আলিয়া মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের টাকা আত্নসাৎ করেন। গত ২০১৮ সালে ২৪ জুলাই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মাদ্রাসার সুপার মো. ইসমাইল হোসেন কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে কোন মিটিং ছাড়াই ১জন লাইব্রেরিয়ান, ১জন সুপারের দেহরক্ষী ও ১ জন আয়াসহ মোট ৩ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে ২৫ লাখ টাকা আত্নসাৎ করেন। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠানের কোন সহকারী বা বাইরের কেউ ওই বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের প্রাণনাশসহ বিভিন্ন প্রকার মামলা মোকদ্দমার হুমকি প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে মোক্ষপুর আ. মালেক দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যদের অবহিত করে হাসান সারুয়াদী হোসেন নিজে বাদী হয়ে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছন।

 

এ বিযয়ে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন মুঠোফোনে জানান আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ অানা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!