Header Image

ময়মনসিংহ সিটির হোল্ডিং ট্যাক্স কমানোর দাবীতে জাতীয় পার্টির পক্ষে পদযাত্রা ও স্মারক লিপি।

 

আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ:

 

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নতুন ধার্যকৃত হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে নগরবাসীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে । নগরবাসীদের অনেকে নতুন ট্যাক্স নিয়ে বিভিন্ন আড্ডা ও যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। নগরবাসীদের সাথে ঐক্যমত পোষণ করে ধার্যকৃত হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবীতে মাঠে নেমেছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।

 

তারই ধারাবাহিকতায় ৯ই জুন সকালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের জনগনের উপর বেশামাল হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদ ও ট্যাক্স কমানোর দাবীতে ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির পক্ষে জাপা নেতা ডাক্তার কে আর ইসলাম, জাহাঙ্গীর আহমেদ এর নেতৃত্বে পদযাত্রা ও স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। স্মারক লিপি প্রদানের পুর্বে পদযাত্রাটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিটি কর্পোরেশনের সামনে এসে মিলিত হয়।

এসময় সিটি কর্পোরেশনের জনগণের বসবাস সুবিধার্থে জনকল্যাণে ট্যাক্স কমানোর দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ডাক্তার কে আর ইসলাম, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ, সাধারন সম্পাদক আব্দুল আওয়াল সেলিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খোকন, কোতুয়ালী জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ইদ্রিস আলী,
জেলা জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান আরজু সহ জাতীয় পার্টির জেলা মহানগরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে তারা ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের জনপ্রিয়, সুযোগ্য মেয়র ইকরামুল হক টিটুর নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন এবং মতবিনিময়ে নতুন নির্ধারিত কর’কে অযৌক্তিক ও জমগণের উপর জুলুম হবে বলে জানিয়ে বর্ধিত নতুন
ট্যাক্স কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষে মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানান। এসময় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলর, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজস্ব কর্মকর্তা সহ নাগরিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।।

এদিকে সিটি কর্পোরেশন ভবনে সরেজমিনে যেয়েও লক্ষ্য করা যায় যে-কর্পোরেশন ভবনের ২য় তলায় উন্মুক্ত রাখা বিভিন্ন ওয়ার্ডের হোল্ডিং ট্যাক্স ভলিউমে গ্রাহকদের খুবই উদ্বেগের সহিত তাদের নিজ নিজ বাড়ির ট্যাক্স নিরূপন করতে দেখা যায়। নতুন ট্যাক্স দেখে অনেককেই হতাশ ও অসহায়ত্ববোধ করতেও দেখা যায়। কারো কারো রিভিউ আপত্তি ফরমও পুরণ করতে দেখা যায় । কিন্তু আপত্তি ফরমের মূল্য ৬০০ টাকা নির্ধারণ থাকায় তা পূরণ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না অনেকে। হোল্ডিং ট্যাক্স যৌক্তিক হয়েছে কি’না একজন গ্রাহককে এরকম জিজ্ঞেস করতে মূহুর্তেই ২০/৪০ জন গ্রাহক এসে উপস্থিত। কিভাবে তাদের অযৌক্তিক কর নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আপত্তি ফরমের মূল্য বেশি থাকায় কিভাবে তারা আপত্তি জানাবে এরকম বিভিন্ন প্রশ্ন ও উদ্বেগ উপস্থিত গ্রাহকদের। আপত্তি জানালেও তাদের অতিরিক্ত কর কমবে কি’না তা নিয়েও শংকায় ভুগছেন গ্রাহকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!