Header Image

ত্রিশালে ভবঘুরে আশ্রমে মানবেতর জীবন যাপনে বন্দী শিশুরা

খায়রুল আলম রফিক:

ময়মনসিংহের ত্রিশালে সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয় পরিচালিত ভবঘুরে আশ্রমে লুটপাট, হরিলুট আর আত্মসাতের মহোৎসব চলছে। বন্দী অসহায় শিশুরা মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীপন যাপন করছে।

জানাযায়, ১৮ একর জমির উপর নির্মিত উপজেলার ধলা জমিদার বাড়ির ওই আশ্রম কেন্দ্রটিতে অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত, মাদকসেবী পুর্নবাসন, ভবঘুরে, পরিচয়হীন শিশু কিশোরদের পুনর্বাসনে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে এ আশ্রমকেন্দ্রে ২৭৩ জন বন্দি রয়েছে। এসব বন্দীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

এদের জন্য সরকার থেকে চিকিৎসা, বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকলেও সমাজ সেবা কার্যালয়ের একটি অসাধু চক্র এসব আত্মসাৎ করে বন্দীদের মৌলিক চাহিদা হরন করছেন। এদের অনেকেই খাজ-পাচরাসহ বিভিন্ন সংক্রমন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়াও শীতে বরাদ্দের পোষাক না পেয়ে অতিকষ্টে শীতকাল পার করছেন। পূর্নবাসিত হওয়ার পরিবর্তে তাদের জীবন বিপন্নের পথে। সরকারি বরাদ্ধের কোন ধরনের সুযোগ পাচ্ছেনা বন্ধিরা। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলকে সাথে নিয়ে এসকল অর্থ আত্মসাৎ করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, ধলা আশ্রয়কেন্দ্রে জন্য একজন সহকারী ব্যবস্থাপক সহ ২৭ জন কর্মকর্তা কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও একজন শিক্ষক সহ ৫ জন কর্মচারী রয়েছে। যারা দায়িত্বে আছেন তারাও নামমাত্র অফিসে সপ্তাহে একদিন হাজিরা দিয়ে ভাতাদি উত্তোলন করেন। দুজন নিরাপত্তা প্রহরী ও উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসের কয়েকজন প্রহরী দিয়ে চলছে এই আশ্রায়ন প্রকল্পটি।

উপজেলা কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক এডি রাস্তা খারাপ যাতায়াতে অসুবিধা এমন অজুহাতে তিনি গত ৮ মাসে ধলা আশ্রয়কেন্দ্রে সর্বোচ্চ / ১৫ দিন অফিস করলেও বন্দিদের সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগ নিতে পারেননি আজও কেউ । ফলে বন্দি অসহায় শিশুরা মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীপন যাপন করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রহরী জানায়, এডি স্যার দায়িত্ব গ্রহন করলেও কোনদিন অফিস করেননি। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন আসলে তিনি হাজিরা দিয়ে চলে যান।

গত বছরে সরকারী মালামাল কোন প্রকাশ নোটিশ ছাড়াই বিক্রি করা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম এটাকে ধাপাচাপা দেয়ার জন্য কর্মচারীদের চাপ দিয়ে আসেন। এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যান। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রবেশে মৌখিক নির্দেশ দেন এই কর্মকর্তা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!