ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
দিবস আসলেই কদর ভারে শহীদ মিনারের। ফুলে-ফুলে সজ্জিত হয় মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর এই মহান শহীদ মিনার। তাছাড়া কখনো এর সম্মান দিতে জানেনা বাঙ্গালী জাতি। জুতা পায়ে উঠে তাকে প্রায়ই অসম্মান করা হয় গুরুত্বপূর্ণ সম্মানজনক এই মিনারটি। এরুপ ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। তবে এর কোন শাস্তি না হওয়ায় শহীদ মিনারের সম্মান ও মর্ম বুঝতে চেষ্টাও করেনা কেউ। সম্পতি ৬ই জানুয়াী সোমবার ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাঠাল ইউনিয়নের ফাতেমা নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে অবস্থারত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে। এনিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন সমালোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা জুতা খুলে খালি পায়ে শহীদ মিনারে উঠে দাড়িয়ে অবস্থান করলেও তাদের জুতা শহীদ মিনারের উপরেই রাখা ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত জুতা পায়ে ছবির ক্যাপশনে জানা যায়-৬ই জানুয়ারী সোমবার সকাল ১০টার পুর্বে ফাতেমা নগর উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে আসেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার শাহানা রহমান স্কুল পরিদর্শনে আসেন এবং এ্যাসেম্বলিতে শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। এসময় শহীদ মিনারের উপরে তার সাথে জুতা পায়ে দাড়ানো ছিলো স্কুলের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন কুমার তরফদার। অতঃপর সুপারভাইজার শাহানা রহমান স্কলের ক্লাস পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের করনীয় নানা দিক তূলে ধরে সংক্ষিপ্ত সাজেশন প্রদান করেন। তবে কর্মসুচী যাই হউক শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠার বিষয়টি সচেতন মহলের মাঝে চরম ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন একজন প্রধান শিক্ষক নিজেই যদি শহীদ মিনারেের সম্মান না বুঝেন তাহলে বর্তমান প্রজন্ম তাদের নিকট থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কতটুকু অবগত হবেন। কি শিখবেন তারা। কার নিকট থেকে শিখবেন শহীদ মিনারের মর্ম। আগামী দিনে ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ বীর সৈনিকরা কতটুকু সম্মান পাবেন?