ময়মনসিংহ সদর ভূমি অফিসে ভূমি জমাখারিজ ও নামজারি করতে এসে সাধারন মানুষ নানা ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাসের পর মাস জমাখারিজের ফাইল গুলো অজ্ঞাত কারনে ফাইল বন্দি থাকে ভূমি অফিসে। এছাড়াও ভূমি ডিমারগেশনের নামে কাননগো টাকা ছাড়া পা বাড়ায়না বলে অনেকে জানিয়েছেন। “খ” তালিকা ভুক্ত ভূমি সরকার অবমুক্ত করলেও তিনি তা খারিজ দিচ্ছেন না। তবে কোন কোনটি করে দেয়ায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভুক্তভোগিরা জানিয়েছে, ভূমি জমাখারিজে তাদের টাকা দিতে হয়। ফুয়েল ছাড়া এখানে ফাইল চলেনা বলে অভিযোগ করেন। প্রতিটি জমাখারিজে একটি নিদৃষ্ট অংকের টাকা দিলেই দ্রুত জমাখারিজ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে নোটিশ জারি বা নাজারি কোন কিছুই দেখা হয়না। বেশীর ভাগ নোটিশই প্রাপকের কাছে পৌছায়না। দ্রুত জমাখারিজের ক্ষেত্রে এগুলো তারাই গোপন করেন। যত ফুয়েল তত দ্রুত কাজ এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সাংবাদিক আরিফ রেগুয়ারী জানিয়েছেন, তার নিজের জমি খারিজ করতে গিয়ে সামান্য ফুয়েল দেয়ায় তার খারিজ হচ্ছেনা। তিনি ৪ মাস ধরে সদর ভূমি অফিসে ঘুড়ছেন। তার দরখাস্ত নং-১৫৭০৩৪২। সাংবাদিক আবুল ফজল জানিয়েছেন, আসাদুজ্জামানের কেইছ ৩২৯৭ নং খারিজ। সূত্র জানায়, আকুয়া মৌজার এই খারিজটি (ভিআইপি) দীর্ঘদিন ধরে এসিল্যান্ডের টেবিলে আটকে আছে। গত পরশু আবুল ফজল তার হয়রানির কথা এডিসি সাহেবকে জানিয়েছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর অফিসে জমা-খারিজের ফাইল আটকে থাকে। আকুয়ার মজিবুর রহমান এর জমির জমা-খারিজ নং-১৫৭৭৮৮১ হচ্ছে না। ৬ মাস ধরে এক কর্মকর্তার কাছে আটকে আছে। আটকে আছে জনৈক শাহ আব্দুল্লাহ আল মামুনের অভিযোগে দেখা যায়, মামলা প্রত্যাহারের পরও তার জমি’র চেক কেটে দেয়া হচ্ছে না। এরা দিনের পর দিন ঘুরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কেন তাদের কাজ হচ্ছে না তার কোন সদুত্তর নেই। বাড়তি টাকা ছাড়া কাজ হয় না বলে সূত্র জানায়।
জানা যায়, কাননগো আনিসুর রহমান এক যুগের অধিক সময় ধরে সদর সহকারি ভূমি অফিসে কর্মরত আছেন। জ্যোতি আছেন প্রায় ১০ বছর ধরে। রুবেল ও আতাউর তারাও দীর্ঘদিন ধরে আছেন এই অফিসে। যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অভিযোগ। সূত্র মতে, এ ব্যাপারে সুষ্টু তদন্ত হলেই বেরিয়ে আসবে অনিয়ম দুর্নীতি, উৎকোচবাজীর চালচিত্র। সাধারণ মানুষের অভিযোগ ও প্রত্যাশা দীর্ঘদিন ধরে একই অফিসে চাকরীর সুবাদে যারা বেপোয়ারা ভাবে টাকা কামাই করে যাচ্ছেন, জনমনে যাদের নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ও বিতর্ক চলায় অফিসের ভাবমুর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।