Header Image

ভালুকায় উপজেলা চেয়ারম্যানের ত্রাশের রাজত্ব!!মুক্তিযোদ্ধার পর এবার লাঞ্চিত শিক্ষক।

 

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

ময়মনসিংহের ভালুকায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালামের ক্ষমতার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে উপজেলার সাধারন গন-মানুষ। চেয়ারম্যান হওয়ার থেকে মানুষের উপর প্রভাব খাটিয়ে একের পর সংবাদ শিরোনাম হচ্ছেন। কিছুদিন পুর্বেও তার নামে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছিলো। সেই ঘটনা রেশ কাটতে না কাটতে আবারো ভালুকায় এক কলেজ শিক্ষককে মারধর করে ফের আলোচনায় এসেছেন স্থানীয় এমপির ভগ্নিপতি এই উপজেলা চেয়ারম্যান। এই ঘটনায় শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইমাম হাসানের আদালতে নির্যাতিত শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবীর (৩০) মামলাটি দায়ের করেন।

হুমায়ুন কবীর ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজের খণ্ডকালীন প্রভাষক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য।

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ভালুকা থানা পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান কবীর সাজু সাংবাদিকদের জানান।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- ইমরান আলী (৩৩), নাজমুল (২৫), মানিক (২৮) ও আবির (২৫)।
এছাড়া আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজহারে জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক তালুকদারকে একটি তুচ্ছ ঘটনায় লাঞ্ছিত করেন আবুল কালাম আজাদ।এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ফজলুল হক তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। পরে হুমায়ুন কবীর ওই পোস্টটি তার ফেইসবুকে শেয়ার করেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার সিডস্টোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হুমায়ুন কবীরকে মারধর করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে অন্যায়ভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমিও পাল্টা মামলা করব।

এভাবে একের পর এক মানুষের উপর প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন ব্যক্তিদের মারধর করায় ভালুকাবাসীর মাঝে তীব্র সমালোচনা ও চরম আতঙ্কে সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই তার কাছে কোন কাজে গেলেও আতঙ্কবোধ করেন।সমালোচনা চলছে ক্ষমতাতো দেখাবেনই কারণ তিনি এমপির ভগ্নপতি আবার নিজেও উপজেলার চেয়ারম্যান। ভালুকার পুরো প্রশাসনই তার হাতে। তার ব্যাপারে কে ব্যবস্থা নিবে। কোন অফিসার তার এসব ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হয়তো তাকেও ভালুকা ছাড়তে হবে! এমন প্রতিক্রিয়া ওতীব্র সমালোচনা ভালুকার প্রতিটি জনবহুল পয়েন্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!