আরিফ রববানীঃ
পুলিশ জনতা হাতে হাত, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার । এই
শ্লোগান বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের মাঝে
পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত) হুমায়ুন কবির অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
তিনি এই জেলায় যোগদানের পর থেকে মাদক নিয়ন্ত্রন ও সকল ধরনের অপরাধ দমনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ময়মনসিংহ জেলা বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো এ জেলার পুলিশ প্রশাসনকে কে দালাল ও তদবির
মুক্ত করা। তিনি ময়মনসিংহের সুযোগ্য ও অত্যন্ত মেধাবী পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান পিপিএম এর দিক নির্দেশনায় সততা ও সাহসিকতার সাথে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশকে কে দালাল ও দুর্নীতি মুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ফলে সাধারণ জনগণ নির্ভয়ে থানায় প্রবেশ করতে পারে। তিনি জেলার আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে তার নীতি আদর্শ নিয়ে কাজ করে চলেছেন।
তিনি গত ২১ অক্টোবর ২০১৮ ইং তারিখে ময়মনসিংহে যোগদান করে মাদক ও দালাল মুক্ত আধুনিক ময়মনসিংহ গড়ার লক্ষে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ী ও
গডফাদারদের আটকের জন্য সাড়াশি অভিযান পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
মাদক,সন্ত্রাস,চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তার সার্বিক তৎপরতায় জনমনে প্রশান্তির পাশাপাশি পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। ময়মনসিংহের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ময়মনসিংহবাসীর গর্ব করার মতো অনেক কিছু আছে। তবে কিছু অসাধু মাদক ব্যাবসায়ীদের কারনে জেলার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তিনি আরও বলেন,আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের তৎপরতার কারনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া পূর্বের ন্যায় এখন আর প্রকাশ্যে মাদক বিক্রয়,স্কুল কলেজের ছাত্রী ও নারীদের ইভটেজিং, চুরি ডাকাতি, রাস্তায় গতিরোধ করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা গুলো ময়মনসিংহে এখন অনেকাংশেই কমেছে। শান্তিময় ও উন্নত ময়মনসিংহ জেলা গড়তে তিনি সচেতন জেলাবাসীর নিকট সুপরিকল্পিত গঠনমূলক পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন ।
ময়মনসিংহ জেলায় কর্মরত পুলিশের এই চৌকস ও মেধাবী কর্মকর্তা নাটোর জেলার সদর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার এক ভাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, আরেক ভাই জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং ছোট বোন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার সার্ভিস এ ইউএনও হিসেবে কর্মরত আছেন।তিনি গত ২০০৬ সালে ২৫তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেন। পুলিশের চাকুরীতে প্রথমে রাজশাহী জেলা পুলিশ ও পরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে এএসপি পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১২ সালে দারফুর, সুদানে সুনামের সাথে ইউএন শান্তি রক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ইউএন মিশন হতে দেশে ফিরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এ যোগদান করে চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা তদন্তে অসাধারণ দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। অতঃপর তিনি বরিশাল জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করায় তাকে ময়মনসিংহ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ময়মনসিংহে যোগদানের পর পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পান। বিগত ১৬ মাসে তার দায়িত্ব পালনে কর্মদক্ষতা ও মানবিকতার পরিচয় দেওয়ায় তিনি স্বল্প সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে একজন জনবান্ধব পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিতি অর্জন করে নিয়েছেন। একজন নিরহংকারী ও জনবান্ধব পুলিশ অফিসার হিসেবে যে কোন পেশা শ্রেণির ব্যক্তি যে কোন কাজে তার সাথে দেখা করে আইনি সহযোগীতা পেয়ে থাকেন। মেধাবী এ দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা সততা ও আদর্শের মাধ্যমে তার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।