Header Image

ময়মনসিংহে দায়িত্ব পালনের একমাসে এসপি আহমার উজ্জামানের ব্যাপক চমক।

 

আরিফ রববানীঃ

মিট দ্যা প্রেস” এই ব্যানারে শনিবার ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উদজ্জামান সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হয়ে ছিলেন। এ জেলায় যোগদান করে এক মাস অতিবাহিত করেছেন। অপরাধ দমনে তিনি দেখিয়েছেন দারুন চমক। সেই সাথে ময়মনসিংহের সাংবাদিকগন পেশাগত দায়িত্ব পালনে, সংবাদ কভারেজ করায়, তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অপরাধ দমনে সাংবাদিকদেন পরামর্শ ও তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন গোপন অপরাধের কথা শুনেন। পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দেন।পরে তার কার্যক্রমের সফলতা ধরে তুলেন ধরেন।

মুক্তাগাছায় গনধর্ষন মামলাঃ- গত ১০ জানুয়ারী মুক্তাগাছায় আমেনা (১৮) গনধর্ষণের স্বীকার হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। পরবর্তীতে জানা যায় ৬/৭ মাস পূর্বে ৬/৭ জন কর্তৃক ভিকটিম ধর্ষিত হয়েছে। ভিকটিমের পিতা মোঃ আলম বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় অভিযোগ করলে মুক্তাগাছা থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-১০/০১/২০২০ ইং ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৯(৩)/৩০ রুজু হয়।

মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা তদন্তকালে ঘটনায় জড়িত অন্যতম আসামী মোঃ শাকিল হোসেন @ খালেদ সাইফুল্লাহ (২০), মোঃ নাঈমুল ইসলাম নাঈম (১৯), হোসেন @ হোসেন আলী @ মনির হোসেন (২০), মোঃ আঃ হাই ওরফে হাইয়্যু (৩০), গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ৩ জন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। পলাতকদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। কোতোয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনঃ- গত ১৬ জানুয়ারী ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানাধীন খাগডহর ঘুন্টি এলাকায় নিজ বাসায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী মোছাঃ ফাহমিদা সুলতানা রুমা (৩৮) এবং পরবর্তীতে মেয়ে লাবিবা আফরিন নাফিয়া (১২)কে স্কুল থেকে ডেকে এনে হত্যা করে। একইভাবে ২য় মেয়েকে স্বামীর বাড়ী থেকে ফোনে ডেকে এনে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে উক্ত লোমহর্ষক হত্যাকান্ডটি প্রকাশিত হয়। উক্ত ঘটনায় সাদিয়া আফরিন লাবন্য বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ করলে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৭৯, তারিখ-১৬/০১/২০২০ ইং ধারা-৩০২/৩২৫/৩০৭/২০১ পেনাল কোড রুজু হয়।

জোরা খুনের ঘটনায় থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান করে ঘাতক আসামী শফিকুল ইসলাম শাহীন (৪২), ২৪ ঘন্টার মধ্যে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে খুনি আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। “স্কুলছাত্র হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন” কোতোয়ালী থানাধীন এইচ এফ হৃদয় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ কাউছার (১৬) গত ৪ ফেব্রæয়ারী তারিখ দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ মোক্তার মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ করলে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-৫/২/২০২০ ইং, ধারা-৩০২/৩৪/১০৯ পেনাল কোড রুজু হয়। কোতোয়ালী থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে দ্রæততম সময়ে গত ৭ ফেব্রæয়ারি ঘটনায় জড়িত সাগর মিয়া (১৭), সিয়াম (১৬), ,নাহিদুল ইসলাম (১৭), গ্রেফতার সহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

চোরাই মটর সাইকেল এবং ক্যামেরা উদ্ধারঃ- একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোর ময়মনসিংহ জেলায় মটর সাইকেল চুরি করে আসছে। গত ২৪ জানুয়ারি এস এম ফয়জুর রহমানের বসত বাড়ী থেকে একটি মটর সাইকেল চুরি হয়। এই ঘটনায় কোতোয়ালী থানার মামলা নং-১১০, তারিখ-২৫/০১/২০১৯ ইং, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলাটি তদন্তকালে জেলা গোয়েন্দা শাখা মোঃ আলমগীর হোসেন ওরফে টুলু (৩৮), মধুপরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার কাছ থেকে বাদীর চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। আসামী চুরির দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

গত ২৩ডিসেম্বর কোতোয়ালী থানাধীন চরঝাউগড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি ক্যামেরা চুরির ঘটনা ঘটে। বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৫৯, তারিখ-১০/০১/২০২০ ইং ধারা-৪২০/৩৭৯ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলার তদন্তকালে জেলা গোয়েন্দা শাখা ঘটনায় জড়িত আসামী মোঃ আরমান হোসেন ওরফে অন্ত (১৯), মোঃ আকরামুল ইসলাম (১৯),কে গ্রেফতার সহ তাদের হেফাজত থেকে চোরাইকৃত ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় চুরির দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

উল্লেখ্য ময়মনসিংহ জেলায় জানুয়ারি মাসে মোট মাদক মামলা রুজু=২৬৩ টি। মোট মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার=৩৫৮ জন।মোট মাদক উদ্ধার, হেরোইন=৪৯২ গ্রাম, ইয়াবা-৭২০২ পিস,গাঁজা=২১ কেজি ৫১৫ গ্রাম, দেশী মদ=২০৩ লিটার,ইনজেকশন=১০৪ পিস,ফেন্সিডিল=২৫ বোতল, বিদেশী মদ=৫ বোতল । উদ্ধারকৃত মাদকের অনুমান মূল্য=৭,৩০,৪,৬৭৫/- টাকা। ডিবি দুইটি মাদক উদ্ধারের ঘটনায় প্রবাহ চিত্রের মাধ্যমে মাদকের মূল হোতা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। জানুয়ারি/২০২০ মাসে নিয়মিত মামলা রুজু=৫৮৯ টি। নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার=১১৮৪ জন।ওয়ারেন্ট মূলে গ্রেফতার=১৮৪৭ জন। গত ২ জানুয়ারি টি বিদেশী পিস্তল ১ রাউন্ড গুলি-জেলা গোয়েন্দা শাখা ও ১টি রিভলবার ২ রাউন্ড গুলি-গৌরীপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!