
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
অবশেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঘটনায় স্থানীয় সাংসদের আহবানে ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চাপে অভিযোক্ত তিন ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং অন্যান্য সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত রেখে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ।
বহিষ্কৃত ছাত্রীরা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তোয়াবা নুশরাত মীম ও শায়রা তাসনিম আনিকা এবং চারুকলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মৌমিতা পারভিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, র্যাগিংয়ের অভিযোগে তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার জরুরী সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়েছে সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে কি না।
উল্লেখ্য-পটুয়াখালী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ ফজলুুর রহমানের কন্যা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার পারফরমেন্স এন্ড স্টাডিজ বিভাগের ১ ম বর্ষের ছাত্রী রেগিং এর শিকার হয়ে আহত হলে প্রথমে তাকে ত্রিশাল উপজেলা হাসপাতাল,, পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি ঘটায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে শনিবার ত্রিশাল আসনের সাংসদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন মাদানী ও ত্রিশালের প্রবীণ ও মেধাবী আওয়ামীলীগ নেতা ফজলে রাববী যৌথভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে অফিস বন্ধ থাকায় তার বাসভবনে দেখা করেন।এসম সাংসদ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এই অশ্লীল ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাখে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করতে উপাচার্য কে আহবান জানান। এরই মাঝে রবিবার সকালে র্যাগিং কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। পরে অবশেষে রবিবার সন্ধায় উপাচার্য সংসদ সদস্যের অবগতির জন্য তাকে (সাংসদকে) ফোনে না পেয়ে প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা ফজলে রাববীকে টেলিফোনে জানান যে এ ঘটনার সাথে জড়িত তিন ছাত্রীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহনের লক্ষ্যে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় সিন্ডিকেটের জরুরী সভা ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে সকলের অবগতির জন্য আওয়ামী লীগ নেতা ফজলে রাববী জানান যে তাদের সাথে আলোচনা কালে উপাচার্য এই ঘটনায় তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াই শুধু ব্যক্ত করেন নাই,,,,দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যে সাধারণ ছাত্র/ ছাত্রী এবং স্থানীয় জনসাধারণ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার চেয়ে মানব বন্ধন করেছেন। তিনি আশাবাদী উপাচার্য বিষয়টি হাল্কাভাবে দেখবেননা। তিনি উপাচার্যের এই সিদ্ধান্ত ঢাকায় অবস্থানরত মাননীয় সাংসদকে অবহিত করেছেন বলেন জানিয়েছেন বলে জানান ।
তবে এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে মতবিনিময় করে শিক্ষার্থীদের দাবী বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন মাদানী ও ত্রিশালের প্রবীণ ও মেধাবী আওয়ামীলীগ নেতা ফজলে রাববী ভূমিকা রাখায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন শিক্ষার্থীরা।