
৯২ বছর বয়স পেরিয়ে গেলেও এখনও বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড পাইনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ৭নং পুটিবিলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সড়াইয়া নয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আছিয়া খাতুন।
বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা প্রদান বর্তমান সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। তাই রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী এই ভাতার একজন প্রকৃত দাবিদার হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার ৭নং পুটিবিলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সড়াইয়া নয়া পাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী’র স্ত্রী আছিয়া খাতুন। জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম সালে দেখা যায় ১৯২৭ সনে অনুযায়ী বর্তমানে তাঁর বয়স ৯২ বছর হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাস্তবে তার বয়স একশ বছর হবে। আজ থেকে ২২ বছর পূর্বে তাঁর স্বামী মারা গেছে।এরপর থেকে তিনি অনেক কষ্ট করে জীবন-যাপন করেন। অথচ এখনও তার কপালে জুটেনি বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড। বৃদ্ধা অসহায় আছিয়া খাতুনের প্রশ্ন ‘আর কত বয়স হলে আমি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড পাবো?
স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে কোন রকম কষ্ট করে সংসারে অবহেলিত হয়ে দিনাতিপাত করছেন এই আছিয়া খাতুন। তাঁর কোন ছেলে-সন্তান নেই,আছে শুধু দুই মেয়ে,তাদের বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই। স্বামী মারা যাওয়ার পর মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও বয়সের ভারে অনেক আগেই কর্মশক্তি হারিয়ে নুয়ে পড়েছেন অসহায় আছিয়া খাতুন। শরীরের যা অবস্থা আগের মত কাজ কর্ম করতে পারেনা তাই অনেকটা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে বৃদ্ধা আছিয়া খাতুনের। প্রতিদিন অন্যের হাতের দিকে চেয়ে থাকতে হয়। কোন কোন দিন এক বেলা খাবার জুটলেও অন্য বেলায় না খেয়ে থাকতে হয়। ঈদের মতো বড় উৎসবে তাঁর একটু খোঁজ নেয়ার কেউ নেই। অথচ এখনও তার কপালে জুটেনি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড।
’নব্বইঊর্ধ্বো এই বৃদ্ধা আক্ষেপ করে বলেন, আমার দেখা মতে কত চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলো কিন্তু আমার দিকে কেউ চেয়ে দেখলোনা। তিনি আরও বলেন আগে আমি অফিসে গিয়েছি কিন্তুু কোন ধরনের কাজ হয়নি। তবে এখন আর তাদের কাছে যাবার শারীরিক সক্ষমতা আমার আর নেই।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা সমাজ-সেবা অফিসার মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ আসেনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে তালিকা পাঠানো হয় তার ভিত্তিতেই আমরা কার্ড সরবরাহ করে থাকি। এর বাইরেও কোন বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতার কার্ড পাওয়ার যোগ্য কেউ থাকে তাহলে আমি ব্যবস্থা করে দিবো।