Header Image

ত্রিশালের বৈলরে জনকল্যণকর প্রকল্প ফর ইউ লিমিটেড এগ্রো বেইজ ফার্মের যাত্রা শুরু।

 

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলাধীন বইলর ইউনিয়নের পাড়ধানীখলায় প্রায় ৬বিঘা জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে ফর ইউ লিমিটেড এগ্রো ভেইজ ফার্ম নামক একটি জনকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারন মানুষ ভেজালে ভরা এদেশে নির্ভেজাল গরু দুধ,মাছ,সাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র ক্রয় করে স্বাস্থ্য সম্মত খাবারের মাধ্যমে সুস্থ্য থাকতে পারবেন। গত ২০১৯ সালের ১১ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে ২৫শে ডিসেম্বরের মাঝে এর ওপেনিং করা হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য ভেজালমুক্ত পরিবেশে সংগ্রহ করার সুযোগ পাবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। পাবনার সুনাম ধন্য শিল্পপতি শিফার খান,রাজশাহীর হিরো খান, আমেরিকা প্রবাসী রাজশাহী জেলার সুযোগ্য শিল্পপতি মিসেস শিলা খান এই তিন ব্যবসায়ী যৌথ ভাবে জনকল্যাণমুখী এই ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে এটি গড়ে তুলেছেন। এতে একদিকে যেমন বইলর এলাকা ডেভেলাপ হয়েছে অপর দিকে এর মাধ্যমে গোটা দেশবাসী এই প্রকল্পের সহযোগীতায় ভেজালমুক্ত মাছ,শাক-সবজিসহ বিভিন্ন প্রজাতির খাদ্যের আইটেম সহজে হাতের কাছে পাবে।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ বাসী এর সুফল পাবেন। স্থানীয় ভাবে প্রায় শতাদিক লোকের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে ১০জন নিয়োগ প্রাপ্তসহ অস্থায়ী ভিত্তিতে প্রজেক্টের কসজ করছেন অর্ধশত লেবার।
প্রকল্প চেয়ারম্যান হিরো খান জানায়, সরকারের বার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় নবায়ন যোগ্য খাদ্য বিশেষ করে বায়োফ্লকের বিশুদ্ধ মাছ, ভেজালমুক্ত ভাবে গরু মোটা তাজা করণ পদ্ধতি,ডেইরী ফার্ম,এগ্রিকালচারাল শাক-সবজি,পোল্টি থেকে শুরু করে সবকিছুর উৎপাদনের লক্ষ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশালের পাড়ধানীখলায় ৬বিঘা জমিতে এই এগ্রো ভেইজ ফার্ম নামক উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর তিনশতাধিক শ্রমিকের স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রকল্পটিকে ঘিরে এলাকাতে ব্যবসা বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে। ত্রিশালের বৈলরের এই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল এলাকাটি ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিণত হবে বলেও অনেকের ধারণা।

পরিবেশ বান্ধব এ এগ্রো ভেইজ ফার্ম প্রকল্প থেকে আগামী বছরের মধ্যে উৎপাদন সুযোগ পাবে বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসী এমনটা আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রকল্প চেয়ারম্যান। প্রকল্পটির কারণে স্থানীয় ভাবে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় কয়েক অর্ধশত ব্যক্তি এখানে কাজ করছেন। তিনি বলেন বাংলাদেশে পুষ্টিকর ও সু-স্বাধু খাদ্য বাস্তবায়নের পথে চলমান প্রকল্প গুলোর মাঝে এটিই সবচেয়ে বড় প্রকল্প।

প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছেন রাকিবুল ইসলাম মুকুল । তারা বলেন বেসরকারী বিনিয়োগ ও সরকারী তদারকিতে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সুষম খাদ্য সু-স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। এটাকে সুস্থ্য দেহের এনার্জিও বলা হয়ে থাকে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ময়মনসিংহের সাধারণ গরীব মানুষই বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!