
অভিনয়ে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার একুশে পদকে ভূষিত করেছে অভিনেতা এস এম মোহসীনকে। গেল ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেছে। তার পরের দিনই গাজিপুর স্বপ্নের ঠিকানা শুটিং স্পটে ‘কেমন আছো বাংলাদেশ’ শিরোনামের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেন তিনি।
বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি বাবা ও ছেলের প্রেম-শ্রদ্ধার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই চলচ্চিত্রটি। এতে বাবা-ছেলের চরিত্রে অভিনয় করছেন এস এম মহসীন এবং আফফান মিতুল।
গল্পে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা এস এম মোহসীন শেখ মুজিবর রহমানের ভক্ত। প্রতিবছর ১৫ আগস্ট আসলে তিনি একটি গাছ বিক্রি করে মিলাদ পড়ান, মানুষদের খাওয়ান। সবসময় ঘরে বাইরে সর্বত্র মানুষকে জোর করে বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনান।
এতে তার একমাত্র ছেলে আফফান মিতুল ও পূত্রবধূ অন্তরা বিরক্ত হয়। অভাবের সংসারে তারা এসব সহ্য করতে পারে না ইচ্ছে থাকলেও। একসময় এস এম মোহসীন মারা যান।
কাকতালীয়ভাবে মৃত বাবার স্বভাব আচার আচরণ ভর করে ছেলে মিতুলের উপর। সে এখন বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করে। ২৫ বছর পর মিতুল বৃদ্ধ হয়ে যান। বাবার প্রতি তার দুর্ব্যবহার এখন কষ্ট দেয় তাকে। বাবার লাশের কাছে এসে আফফান মিতুল জানান, ‘ভালো আছে বাংলাদেশ। দেশের নেতৃত্ব এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাতে।’
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ হয়েছে। আল আমিন এইচ রুবেলের রচনা ও পরিচালনায় এবং আমজাদ মামুন প্রযোজিত এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে দেশপ্রেমের একটি মৌলিক গানও রয়েছে। পরিচালকের লেখা এবং রোহান রাজের সুরে এই গানটি গেয়েছেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা রাশেদ।
আসছে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষে ‘কেমন আছে বাংলাদেশ’ শিরোনামের এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে।
এতে আফফান মিতুলের বিপরীতে অভিনয় করেছেন অন্তরা। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নজরুল, রাশেদ খান, আমজাদ মামুন, বিল্লু, শাওন, মুসা রুবেল, রবিন, সানজি, আরিয়ান, হাসানসহ আরো অনেকেই।
মিতুল জানান, খুব শিগগিরই তিনি ‘কেমন আছে বাংলাদেশ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নির্মাতা-প্রযোজক জুটির প্রথম সিনেমা ‘ক্রীড়াভূমি’-তে অভিনয় করবেন।