Header Image

ভালুকা ২ বছর যাবৎ নিজের বসতবাড়ি যেতে পারছেনা এক অসহায়পরিবার 

 

ভালুকায় দুই বছর যাবৎ নিজের বসতবাড়ি যেতে পারছেনা অসহায় এক পরিবার। যার ফলে ষাটোর্ধ বাবা হাসেম আলী (৬২) ও মাকে নিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে অসহায় পঙ্গু ছেলে আমিরুল ইসলাম। ঘটনাটি উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের মেদুয়ারী গ্রামে । বসতবাড়ি থেকে অন্যায় ভাবে বের করে দেওয়ার বিচার প্রার্থী হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় পরিবারটি।

এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় আফতাব উদ্দিন, রাহাত মিয়া, ফাতেমা খাতুন, মোছা. নিলুফাকে আসামী করে (৫৭(০৫)১৮) নং মামলা বিচারাধিন রয়েছে।

মামলার চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, ৫জুন ২০১৮ সাল রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫/৬ জন ভিবিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদির পরিবারকে মারপিট করে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে সবাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।  এতে ওই বাড়ির সকল প্রকার অসবাপত্র পুড়ে যায়। পরে আহতরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ভালুকা মডেল থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদি আমিরুল ইসলাম জানান, ‘আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে আমরা ২ বছর যাবৎ যেতে পারছিনা। আমার বৃদ্ধ মা বাবাকে নিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে থাকছি। আফতাব উদ্দিনের কোন প্রকার কাগজ পত্র ছাড়াই অন্যায় ভাবে আমাদেরকে বাড়ি থেকে মারধর করে বের করে দিয়েছে। আমি এর বিচার কারও কাছে পাইনি। আমার বৃদ্ধ মা বাবাকে নিয়ে আমি বাড়ি ভাড়া করে থাকার মত সামর্থ নেই। আমি গার্মেন্টসে কাজ করে কোনরকম সংসারটা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম এমন সময় আফতাব উদ্দিন ও তার বাহিনি আমার পা ভেঙ্গে দিয়েছে। এখন আমি ঠিকমত হাঁটতেই পারিনা। আমি আমার বাবার পৈত্রিক বাড়িতে ফিরে যেতে চাই।’

মামলার তদন্তকারী এস.আই কাজল হোসেন জানান, ‘ভুক্তভুগি পরিবারের একজন সদস্য এ ঘটনায় প্রায় ৮মাস ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মামলার বাদি প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। ওসি মাইন উদ্দিন স্যারের আন্তরিক সহযোগীতায় মামলার চার্জশিট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি। আশা করছি খুব তারাতারিই মামলাটির বিচার কার্য সম্পন্ন হবে।’

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাইন উদ্দিন জানান, ‘মামলার চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে। এখন বিজ্ঞ আদালত এ বিষয়ে রায় প্রদান করবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!