
মোঃ মাসুদ মিয়া,
ময়মনসিংহ ত্রিশালের বালিপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিয়ারা গ্রামের শহিদ মিয়া
বাড়িতে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ঘর-বাড়ি। এতে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার
ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায় ।
জানা যায়, দক্ষিণ বিয়ারা গ্রামের শহিদ মিয়ার বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি
ঘটে। অগ্নি কান্ডের ঘটনায় ২টি টিনসেট বসত ঘর ও ১টি টিন সেটের
রান্না ঘর পুড়ে যায়। এ সময় পরিবারের কেহ বাড়িতে ছিল না বলে কোন হতাহতের
ঘটনা ঘটেনি। রবিবার (২৩ ফেব্রæয়ারী) রাত আনুমানিক প্রায় ১২টার দিকে
একই এলাকায় মাটিকাটাবস্থায় বেকো-ড্রাইভার আগুন জ্বলতে দেখে
এলাকাবাসীকে ডাক-চিৎকারের মাধ্যমে জানানোর পরে সকলে বিষয়টি লক্ষ্য করেন।
এ বিষয়ে সোমবার (২৪ ফেব্রæয়ারী) বিকেলে ত্রিশাল থানায় সমলা খাতুন নামের
এক গৃহবধু বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত ফালু মিয়ার ছেলে বাহার (৫৫), পিতার
নাম অজ্ঞাত সুজন মিয়া (২৮), শামছুদ্দিনের ছেলে আউলাদ (৩৫), মুহাম্মদ আলীর
ছেলে সোহাগ (৩২), জালু মিয়ার ছেলে কামাল (৩০), আলাল মিয়ার ছেলে ছাত্তার
(২৯), মৃত রমজান আলীর মেয়ে আকলিমা আক্তার (২৭) ও ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০),
নজরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২২), নজরুল ইসলামের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার (৩৮)
এবং মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বাদল মিয়া (৩৭) কে বিবাদী করে ১১ জনের
বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে প্রকাশ, পারিবারিক বিষয়াদী নিয়ে শহিদ মিয়া ও তার স্ত্রী সমলা
খাতুনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযোগে উল্লেখিত ব্যক্তিদের সাথে শত্রæতা
রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিবাদীরা অন্যায় অত্যাচার সহ মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে
মামলা করে হয়রানি করেন। এসব হয়রানির স্বীকার হয়ে শহিদ মিয়ার স্ত্রী সমলা
খাতুন ও তার তিন ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে স্বপরিবারে ঢাকায় চলে যায় এবং সেই
ফাঁকে অভিযোগকারীর বসত বাড়িতে উল্লেখিত বিবাদীরা অগ্নিকান্ডের
ঘটনাটি ঘটায়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, এ ঘটনা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষে একাদিক মামলা রয়েছে।
এলাকায় প্রচার রয়েছে এ ঘটানার নেপথ্যের খল নায়কা শিরিন আক্তার।
মোবাইল ফোনে শিরিন আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তার বিরুদ্ধে
এলাকাবাসীর দেওয়া অভিযোগ অস্বীকার করেন।