Header Image

মাদকমুক্ত আধুনিক সমাজ গঠনে বাউল সঙ্গীতের বিকল্প নেই – ত্রিশালের বৈলরে শাহানশাহ।।

 

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের দুলাল ফকিরের বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও বিশাল বাউল গানের আয়োজন করা হয়।

২৪শে ফেব্রুয়ারী সোমবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশাল এই উৎসবের উদ্ভোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বইলর ইউনিয়নের তরুণ সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মশিহুর রহমান শাহানশাহ ।

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বাউল মঞ্চে রাতের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন-জন্মহোক যথাতথা, কর্ম হোক ভালো। বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের কর্ম ভালো থাকায় সারা বিশ্বের মানুষ তাকে আজো স্বরন করছে। আমি-আপনি বা আপনারা যে কাজই করি, সেই কাজটি ভালো হলে সমাজের মানুষ আপনাকে-আমাকে মনে রাখবে। সে লক্ষ্যে পৃথিবীতে যতদিন বাঁচতে হবে,নিজের কর্মটাকে প্রাধ্যান্য দিয়ে মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হবে। সাঁইজি কখনো কাউকে নেশা করতে বলতেন না, যারা বাউল ভক্ত তাদেরও নেশা করা ঠিক না। মাদকমুক্ত আধুনিক সমাজ গঠনে বাউল সঙ্গীতের বিকল্প নেই। আসুন সকলে মিলে একটি মাদক মুক্ত সমাজ গড়ি, মাদককে না বলি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি বঙ্গকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা, আজ তারই নেতৃত্বে দেশ উন্নত সমৃদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আজকের এই অনুষ্ঠানে চারিদিকে যে সব আলোর ঝলকানি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সবটুকু অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

তিনি বলেন, পৃথিবীর বুকে আবির্ভূত বিস্ময়মানব লালন ছিলেন বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী। ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ্‌, মহাত্মা লালন বিভিন্ন নামেও পরিচিত। তাঁকে মরমি সাধক এবং বাউল সম্রাট ফকিরও বলা হয়ে থাকে। একাধারে তিনি একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তীর্থকালে তিনি বসন্ত রোগে আক্রান্ত হলে সঙ্গীরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন। পরে একজন মুসলমানের দয়া ও আশ্রয়ে জীবন ফিরে পাওয়ার পর তিনি সাধক ফকির হন। লালন মুখে মুখেই গানের পদ রচনা করতেন। তাঁর মনে নতুন গান উদয় হলে তিনি শিষ্যদের ডেকে বলতেন- “পোনা মাছের ঝাঁক এসেছে”। লালন গেয়ে শোনাতেন, ফকির মানিক ও মনিরুদ্দিন শাহ সেই বাধা গান লিখে নিতেন। লালনের জীবদ্দশাতেই তাঁর গান বহুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বিশেষ অতিথি হিসাবে স্থানীয় রাজনৈতিক সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তি বর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
ঐতিহাসিক এই উৎসবকে নির্বিগ্ন করতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে নেয়া হয় কয়েকস্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!