মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার শহীদ আব্দুস জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ৫নং গাজির ভিট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের ভাই শিমুল কাছি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি রফিকুল ইসলামের উপর। ধামা চাপা দেয়ার জন্য হুমকি ধমকি দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার দিন শিমুল কাছি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি রফিকুল ইসলাম এ ছাত্রীকে ধর্ষন করে। পরে ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য রফিকুল ইসলামের বড় ভাই আব্দুল মান্নান ও স্থানীয় সন্ত্রাসীর মাধ্যমে ছাত্রীর বাবা মা সহ ছাত্রীকে হুমকী ধামকি প্রধান করেন। যাতে ধর্ষনের ঘটনা এলাকায় না ছড়িয়ে পরে।
এ ব্যাপারে শিমুল কাছি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে সরাসরি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। কতটুকু সঠিক তা জানিনা। পরে রফিকুল ইসলাম গতকাল সোমবার স্কুলে উপস্থিত ছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বিকাল ৩:৫০ মিটিটের সময় বলেন এই মাত্র খাওয়া দাওয়ার জন্য বাড়িতে গেছেন। এখনই এসে জাবেন আমি খবর দিচ্ছি। পরে স্কুল ছটির পরও তিনি আসেন নি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুন ছাত্র/ছাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমার স্কুলের দপ্তরি আজ সকালে একবার ১০ মিনিটের জন্য এসেছিলেন। পরে চলে গেছেন আর স্কুলে আসেন নি।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে তার মুঠো ফোনে বার বার ফোন করেও পাওয়া যায় নি।
এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলামের বড় ভাই আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাড়ি যাই না। আমার কাছে ফোনে অনেকে বলেছে। আমি শুনেছি। ঘটনা সত্য হলে আইনের দৃষ্টিতে যা হবে আমি তাই করব।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ সত্য। মেয়ে এবং তার বাবা মাকে হুমকি ধমকি দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়েছে। তাই মেয়ের পক্ষ থেকে কোন মামলা করতে পাচ্ছে না। মুখও খুলতে পাচ্ছে না। রফিকের বড় ভাই মান্নান মাস্টর অনেক প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের নেতা তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে পারে না। আর এরাত নিরিহ কিভাবে বলবে।
এব্যাপারে রফিকুল ইসলামের স্ত্রীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানি। আসলে আপনারা যা শুনেছেন তা মিথ্যা। মেয়েটি বিস্কুল খাওয়ার জন্য ঐ স্কুলে গিয়ে ছিল। মেয়েটি তাকে মামা মামা বলে ডাকে। মামা ডেকে এমন করেছে আমি বুঝতে পারতেছি না।
এ ব্যাপারে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এমদাদুল হক বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি অপকর্ম অবস্থায় দেখেছেন। তিনি দুইজনকেই ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি এসে ঐ জন প্রতিনিধিকে বল্লাম তিনি বলেন আমি শাসন করেছি তারা আর এমন করবে না। আমি তাকে বিচারের কথা বললে তিনি বলেন বিচার করেছিত আমি।
এ ব্যাপারে গাজির ভিটা ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে তার পরিষদে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। পরে বার বার মুঠো ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে হালুয়াঘাট প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি মাত্র। ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আমার কাছে মাত্র এসে বলল। আমি বিষয়টি দেখব।