Header Image

স্বাধীনতার মাসে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে-ধুঁকে মরছেন ভাতা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা মুর্তজা।

 

আরিফ রববানীঃ

মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়ায় বঞ্চিত হয়ে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে-ধুঁকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ময়মনসিংহের আকুয়া জুবলী কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিক মুর্তজা আলী । স্বীকৃতির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও মুক্তিযোদ্ধার খাতায় তার নাম ওঠেনি তার।

গত ৪ঠা অক্টোবর ৮১ ইং তারিখে (৪/১০/১৯৮১) বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ময়মনসিংহ জেলা ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুছ ছালাম স্বাক্ষরিত দেওয়া একটি প্রশংসাপত্র,ছাড়াও ভারতীয় তালিকায় থাকাসহ মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণের আরো বেশ কিছু কাগজ তার কাছে সংরক্ষিত আছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ময়মনসিংহের আকুয়া বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ডের জুবলী কোয়ার্টার এলাকার একটি কোয়ার্টারে ছোট্ট একটি কুঁড়েঘরে দুর্বিষহ ভাবেই বসবাস করছেন তিনি। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। ঠিক মত চলাফেরাতো দূরে থাক কথাই বলতে পারছেন না তিনি। কিন্তু মনোবল আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ আজও ভূলে যায়নি। মুর্তজা আলী বলেন,, ১৯৭১ সালে দেশ বাঁচাতে মুক্তিযুদ্ধে সাহসীকতার সাথে জীবন বাঁজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও আমার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আসেনি। ভারতীয় তালিকায় সংরক্ষিত আছে আমার নাম। ময়মনসিংহের গাঙ্গিনার পাড়সহ আরো অসংখ্য স্থানে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলাম। যুদ্ধ নিয়োজিত থাকা অবস্থায় বেশির ভাগ সময় আমার সাথে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা থাকত। আমি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। এমনত অবস্থায় আমরা দীর্ঘ ৯মাস যুদ্ধ সংগ্রাম করে বিজয় অর্জন করেছিলাম।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর নিবেদন, আর দেরি না করে দ্রুতই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হোক। সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই হলে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি পাবেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি। এ ব্যাপারে সরকারের উর্দ্ধতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভাতা বঞ্চিত অসুস্থ্য এই মুক্তিযুদ্ধা । জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেখে যেতে চান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধা মুর্তজা আশা করেন- এই মহান স্বাধীনতার মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা, দেশ দরদী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যথাযথ মূল্যায়ন করবেন বলে আশা করছেন অসহায়, ভাতা বঞ্চিত এই মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধা মর্তুজা আলী ব্যক্তি গত জীবনে ২ছেলে ও ১মেয়ের জনক। তার দুই ছেলেই বেকার,আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ছেলেমেয়েদের কেও তেমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন নি তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!