সম্প্রতি প্রকাশিত প্রাথমিক সমাপনি পরিক্ষায় গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে নিহত তিথি পাল। এ বিষয়টি নিশ্চীত করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসাস মনিকা পারভিন।
অপর দিকে তিথি পালের বান্ধবী আহত রুপা চক্রবর্তী দু’পা ভেঙ্গে বিছানায় পড়ে আছে দাড়াতে পাড়ে না আজো। খাওয়া-দাওয়াসহ সব চলে বিছানায়। তিথির কথা শুনলেই আজো কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে রুপা চক্রবর্তী। চিকিৎসার খরচ জোটছে না ঠিক মত। জীবনের সাথে যুদ্ধ করছে রুপা চক্রবর্তী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামন্য আর্থিক সাহায্য আর এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ধীর গতিতে চলছে রুপা’র চিকিৎসা।
তিথি পালের মা রিতা পাল বলেন, আমার জীবনের সকল আনন্দই শেষ। আজ ৪৯ দিন হলো আমার তিথি নেই। কিন্তুু এক মুহুর্তের জন্যও তিথিকে ভূলতে পারছিনা। অথচ ট্রাক ড্রাইভার আর হেল্পার দু জনেই জামিনে মুক্তি পেয়েছে। আমি তো মুক্তি পেলাম না তিথি হারানোর যন্ত্রনা আজো আমায় পুড়ছে। এত দিন হলো ট্রাক মালিক ড্রাইভার কেউ এলোনা আমাদের খবর নিতে। সন্তানের বিচার নিয়ে শঙ্খিত তিথির পরিবার।
মামলার তদন্ত কারী কর্মমর্তা বাহারুল ইসলাম বলেন,বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মালিকের জিম্মায় ট্রাক দেওয়া হয়েছে। আর আসামীরা জামিনে এসেছে। মামলার তদন্তের কাজ প্রায় শেষের পথে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলেই চার্জশিট প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য-ট্রাক চাপায় তিথি নিহত হবার পরে ছাত্র ও যুব সমাজ নিবাপদ সড়কের দাবীতে আন্দলনে নামে। আন্দলনের সুফল নিয়মতান্ত্রীক ভাবে পৌর শহরে ভারি ও হালকা যান চলাচল। গৌরীপুরকে ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহারকারী অবৈধ বালু ভর্তি ট্রাক চলাচল সাময়ীক বন্ধ হয়ে যায়। আর তাতেই “আতে আঘাত লাগে প্রভাবশালী স্বার্থনেশি গাড়ি ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতাদের । বন্ধ হয়ে যায় বালু ভর্তি ট্রাক থেকে টাকা নেয়া। তাদের ষড়যন্ত্রের কারনে বন্ধ হয়ে যায় সামাজিক আন্দলনটি। আবার বেপরোয়া ভাবে দিন রাত চলতে শুরু করে বালু ভর্তি ট্রাক আর অনিয়মতান্ত্রীক ভাবে চলছে শহরের বুকে হালকা ও ভারি যান। প্রশাসনসহ সবাই চুপ আটকানো যাচ্ছে না অবৈধ বালু ভর্তি ট্রাকে আগে চলতো রাতে এখন চলছে দিবারাত্রী। শহরের বুক দিয়ে চলমান বালু ভর্তি ট্রাক,স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরী অবৈধ হ্যানট্রলি,নসিমন, করিমনসহ অনভিজ্ঞ চালক দিয়ে গাড়ী চালানো বন্ধের দাবীতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সু-দৃষ্টি কামনা করছে পৌর বাসি। তারা চায় না আর কোন তিথিকে হারাতে