Header Image

গৌরীপুরে প্রথমবারেই ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হলো বঙ্গবাজার

প্রথমবারেই ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হলো ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার
সহনাটির নতুন বঙ্গবাজার। বুধবার (৪ মার্চ) বিকেলে ইউএনও’র কার্যালয়ে উপজেলা
নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধরের সভাপতিত্বে উপজেলা হাট বাজার ইজারা মূল্যায়ন
কমিটি দরপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ উপজেলার ১৮টি হাট বাজারের বাংলা ১৪২৭ খ্রিস্টাব্দের
বার্ষিক ইজারা প্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
এসময় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সহনাটির গিধাউষা সরিষাহাটি মোড় এলাকায় নতুন
বঙ্গবাজারের ইজারাদার হিসেবে মনোনীত হন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মো. রফিকুল
ইসলাম। ইউএনও’র কার্যালয় সূত্র এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করা হয়েছে।
হাট বাজার ইজারা দরপত্র যাচাই বাছাইকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস
চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার রুবি,উপজেলা কৃষি
সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহেদ খান, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবুল
কালাম আজাদ, গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান কাউসারসহ
দরপত্রদাতাগন।
বঙ্গবাজার কমিটির সভাপতি ও জমিদাতা শফিকুল ইসলাম লিটন জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রতি
অকৃত্রিম ভালবাসা ও শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ তারা প্রথমে বঙ্গবন্ধুর নামে বাজারের নামকরন
করেন। ২০১৮ ইং সনের ৪ মার্চ স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ
আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু’র নামে এ বাজারটির উদ্বোধন করেছিলেন। পরবর্তীতে স্থানীয়
একটি কুচক্রীমহলের নানা ষড়যন্ত্র ও জটিলতা সৃষ্টির কারনে বঙ্গবন্ধু’র নামে এ বাজারটি
সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায়নি। অবশেষে এ বাজারটিকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া
হয়েছে বঙ্গবাজার নামে। তিনি বলেন, ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে এ বাজারের সম্ভাব্য গড় মূল্য ১৫
হাজার টাকা ধরা হলেও স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল বঙ্গবন্ধুর নামে বাজার নামকরণের পরিকল্পনা
নস্যাৎ করার জন্য উচ্চ মূল্যে বাজারটি ইজারা নেয়ার চেষ্টা করেছিল। তাই তিনি বাজার
কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ১ বছরের জন্য এ বাজারটি
ইজারা নিয়েছেন।
শফিকুল ইসলাম লিটন আরো জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে তিনিসহ স্থানীয় কামরুল
হাসান, আব্দুল মজিত, ফক্কর উদ্দিন খান, মোখলেছুর রহমান, শফিকুল ইসলাম কাহারুল এই ৬ জন
মিলে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ২০ শতক জমি ক্রয় করে বঙ্গবন্ধুর নামে বাজার স্থাপনের জন্য
সেই জমি দান করেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকের নামে ইতিমধ্যে উক্ত জমির দলিল
সম্পাদন করা হয়েছে। তিনি আশাবাদী অচিরেই এ সকল জটিলতার অবসানের মধ্য দিয়ে এ
বাজার বঙ্গবন্ধু বাজার নামে স্বীকৃতি লাভ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!