Header Image

হিলিতে ছাগলের খামার করে স্বাবলম্বী সাহাদত

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার (হিলি) বাগদোর গ্রামে ছাগলের খামার
করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শাহাদৎ হোসেন সাদো। ৬০ টি দেশী ছাগল নিয়ে
শুরু করেন ছাগলের খামার। এক বছরে ৬০ টি ছাগল থেকে ১০০ টি ছাগল
বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। লাভজনক হওয়ায় এলাকার অনেক
বেকার যুবকরা অনুপ্রেরিত হচ্ছে ছাগল খামার করতে।
শাহাদৎ হোসেন সাদো জানান, দ্ইু বছর আগে এলাকার বিভিন্ন হাট-
বাজার থেকে ৬০ টি দেশী ছাগল কিনে শুরু করেন ছাগলের খামার। নিজ বসত
বাড়িতে গড়ে তুলেছেন এই ছাগলের খামার। তিনিসহ পরিবারের সব সদস্যরা
ছাগলগুলোর যতœ নেয়। বাড়িতে খড় কাটার মেশিন দিয়ে খড়গুলো ছোট করে
খৈল ভুষি পানি দিয়ে মিশিয়ে ছাগলগুলোকে খাওয়ায়। এক বছরের মধ্যে
ছাগলগুলো একটি- দুইটি করে বাচ্চা দিতে শুরু করে। তা থেকে এখন প্রায়
১০০ টি ছাগল দাড়িয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমান দেশী ছাগল ছাড়াও ৮ টি ভারতীয় রাজস্থানী ও
তোতা জাতের ছাগল খামারে রেখেছি। ছাগলগুলোর মাঝে মধ্যে পিপিআর,
পাতলা পায়খানা, জ্বর, স্বর্দি রোগ হয়ে থাকে। এই সব রোগে আক্রমন হলে
হাকিমপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের সরনাপন্ন হন তনি। মাসে চার
থেকে পাঁচ বার উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে ডাক্তার এসে খামার
পরিদর্শন করেন ও চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা করে যায়। এছাড়াও ইউটিউবে
সার্চ দিয়ে ছাগলের বিভিন্ন রোগ এবং প্রতিকারের পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
তার মতে বেকার যুবকদের জন্য ছাগলের খামার একটি লাভজনক ব্যবসা।
বিদেশে লাখ লাখ টাকা ব্যয় না করে দেশে যদি একটি ছাগল খামার করে তাহলে
তারা অল্প সময়ের মধ্যে স্বাবলম্বী হতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।
হাকিমপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ
জানান, শাহাদৎ হোসেন সাদোর ছাগলের খামারটি প্রানি সম্পদ অফিসের
পক্ষ থেকে নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়। প্রানি সম্পদ অফিস ছাগলের উৎপাদন
বাড়াতে, ছাগলের রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
সাদোর মতো এলাকার অন্যান্য বেকার যুবকেরা ছাগলের খামার করতে উৎসাহী
হলে কর্মস্থানের সৃষ্টি হবে। বেকারত্ব দুর হবে। তিনি বেকারত্ব ঘোচাতে
ছাগলের খামার করতে বেকার যুবকদের উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহব্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!