স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহের ত্রিশালে জালিয়াতি করে এক ভাইয়ের জমি আরেক ভাইয়ের নামে খারিজের অভিযোগ উঠেছে। এখন চলছে জমি দখলের পায়তারা। স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠক করেও বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় আতংকে রয়েছেন জমির প্রকৃত মালিক। সমস্যা সমাধানের কথা বলছেন প্রশাসন।
ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বিয়ারা মৌজায় শহীদুল ইসলামের ৪৫ শতাংশ জমি জালিয়াতির মাধ্যমে খারিজ করে দখলে নেয়ার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে তারই সহোদর ভাই নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বিষয়টি অনেকবার মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও সমাধান হয়নি।
বালিপাড়া ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তা ফিরোজ মিয়া বলেন, গত বছরের ৫ নভেম্বর ৪৫ শতাংশ জমি নুরুল ইসলামের দুই ছেলে রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের নামে খারিজ হয়। তবে জমির প্রকৃত মালিক শহীদুল ইসলাম। জমিটিও তার দখলে রয়েছে। এসিল্যান্ড এরশাদ উদ্দিন স্যারের নির্দেশেই জমি খারিজ হয়েছে। আমি শুধু স্যারের আদেশ পালন করেছি।
জমির প্রকৃত মালিক শহীদুল ইসলাম বলেন, বালিপাড়া বাজারে মেইন রোডের পাশে আমার ক্রয়কৃত ৪৫ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে আমার সহোদর ভাই নুরুল ইসলাম এসিল্যান্ড ও ভ‚মি অফিসকে ম্যানেজ করে তার নামে প্রথমে জমিটি খারিজ করে। পরে রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম তার বাবা নুরুল ইসলামের তার কাছ থেকে ওই জমি খারিজ করে। আমি তাদের নামে জমি খারিজ না দেওয়ার জন্য এসিল্যান্ড এরশাদ উদ্দিনের কাছে লিখিত আবেদনও করেছি। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমার ভোগ দখলি জমি আমার নামে দলিল ও রেকর্ড থাকার পর কিভাবে এই জমি আমার ভাইয়ের নামে খারিজ করা হয়। মনে হয় দেশটা মগের মুল্লুক হয়ে গেছে।
এখন জমি উদ্ধারে আমি এবং আমার সন্তানেরা মানুষের ধারে ধারে ঘুরছি। একটি মামলাও করেছি। যাদের সহযোগিতায় আমার জমিটি ভ‚য়া খারিজ হয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
স্থানীয় আব্দুস সালাম ও ইসমাঈল হোসেন বলেন, যে জমিটি নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে সেটি শহীদুল ইসলামের দখলে দীর্ঘদিন ধরে দেখছি। কিন্তু অসাধু প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কারনে আজ এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় আমরাও আমাদের জমি নিয়ে আতংকে রয়েছে।
ঁজালিয়াতি করে খারিজ করে নেয়া নুরুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন জমির প্রকৃত মালিক আমার বাবা। দীর্ঘদিন আমার চাচা শহীদুল ইসলাম জমি তার দখলে রেখেছিল। এখন আমরা জমি আমাদের নামে খারিজ করেছি। দখলেও নিব।
ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শের মাহবুব মুরাদ বলেন, জমির খারিজ নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি পরিবর্তী শুনানীর মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।