Header Image

ত্রিশালের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে পুর্বশত্রুতার জের।।ফিসারির মাছ নিধন ও হামলার অভিযোগ।

 

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জেড় ধরে ফিসারীর পাড় কেটে ফেলাসহ ফিসারীতে বিষ প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী দখলবাজদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে টান-টান উত্তেজনার দেখা দিয়েছে। উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নে দক্ষিণ বিয়ারা গ্রামে এই অভিযোগ উঠেছে। এতে ফিসারী মালিকের প্রায় এক লক্ষ টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ফিসারী মালিক আব্দুস সামাদ।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে-উপজেলার বালিপাড়া দক্ষিণ বিয়ারা গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলামের সাথে একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল সাথে দীর্ঘদিন ধরে ৪৫শতাংশ জমির বিরোধ নিয়ে দ্বন্দ্ব ছলছিল। বিরোধকৃত সেই জমি ভোগ দখল সুত্রে শহিদুল ইসলামে বৈধ মালিক হলেও বিবাদী গংরা জালিয়াতি করে সেই জমি তাদের নামে কৌশলে খারিজ করে নেয়। এনিয়ে শহিদুল আইনের আইনের আশ্রয় নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে অভিযুক্তদের নামে মামলা দায়ের করলেও অবৈধ ভাবে দখলে নেওয়ার চক্রান্ত থেকে থেমে নেই আসামীরা। বিরোধকৃত এই সম্পত্তিতে জমির প্রকৃত মালিক শহিদুল ইসলামের বৈধ দখলেও রয়েছে। মালিক শহিদুল তার জমিতে ফিসারী করে স্থানীয় আব্দুল খালেকের
পুত্র আব্দুস সামাদের কাছে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। ভাড়াটিয়া আব্দুস সামাদ শহিদের মামলার স্বাক্ষী। সে উক্ত জমি ভাড়া নিয়ে ফিসারী করে পরিচালিত করছে দীর্ঘদিন ধরে। তাই স্বাক্ষীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জমির মালিক শহিদের সাথে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৩ই মার্চ বিরোধকৃত সম্মতি জোর পুর্বক অবৈধভাবে জবর দখলে নিতে মামলার আসামী নুরুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম,শফিকুল ইসলাম,হাফিজুল ইসলামের পুত্র সোলমান আলী সোহাগ ও লোকমান আলীগংরা ফিসারীর পাড় কেটে ফেলে ও বিষ প্রয়োগ করে আব্দুস সামাদের আবাদকৃত মাছ চাষের মাছ নিধন করে। পরে সামাদ বিষ প্রয়োগে মৃত মাছ গুলো সংগ্রহ করে বস্তায় ভরে ভ্যানযোগে থানায় নিয়ে গিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে আসামী রফিকুলের হুকুমে আব্দুস সামাদ ও তার স্ত্রীর উপর হামলা চালায় এবং সামাদের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটায় অন্যান্য আসামীরা। এতে সামাদের স্ত্রী মারাত্মক ভাবে জখম হলে তাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। ঘটনার সময় অভিযুক্ত আসামীরা এই ঘটনায় কোন প্রকার আইনের আশ্রয় নিলে আব্দুস সামাদ ও তার স্ত্রীসহ ঘটনায় স্বাক্ষীদের খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি-ধমকি প্রদান করে বিষ প্রয়োগকৃত মাছগুলোকেও লুট করে নিয়ে যায়।

এব্যাপারে জমির প্রকৃত মালিক শহীদুল ইসলাম জানান, বালিপাড়া বাজারে মেইন রোডের পাশে আমার ক্রয়কৃত ৪৫ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে আমার সহোদর ভাই নুরুল ইসলাম এসিল্যান্ড ও ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে তার নামে প্রথমে জমিটি খারিজ করে। আমি উক্ত জমি খারিজ না দেওয়ার জন্য এসিল্যান্ড এরশাদ উদ্দিনের কাছে লিখিত আবেদনও করেছিলাম, তাতে কোন লাভ হয়নি। আমার জমিকে আসামীদের নামে খারিজ দিয়ে আমাকে বিপাকে ফেলেছে ওরা।

তিনি সরকারের উর্দ্ধতন মহলের প্রতি বিচার প্রার্থী হয়ে বলেন, আমার ভোগ দখলি জমি, আমার নামে দলিল ও রেকর্ড থাকার পর কিভাবে এই জমি আমার ভাইয়ের নামে খারিজ করা হলো, এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন প্রকৃত মালিক শহীদুল ইসলাম। তিনি দুঃখ প্রকাশ বলেন-প্রশাসনের দুর্ণীতিবাজ কিছু অফিসারদের কারণে আজ আমার বৈধ সম্পদ নিয়ে অন্যের সাথে ঝগড়া,মামলাসহ বিভিন্ন কলহ চলছে। এখন জমি উদ্ধারে আমি এবং আমার সন্তানেরা মানুষের ধারে ধারে ঘুরছি। একটি মামলাও করেছি। যাদের সহযোগিতায় জমির ভূয়া খারিজ হয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!