Header Image

ময়মনসিংহে মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করে চাউলের মুল্য নির্ধারণ করলেন ইউএনও।।

আরিফ রববানীঃ

করোনা ভাইরাস কে পুজিঁ করে ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় চালের মুল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে ও মিল মালিকদের মানুষের এই দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে ময়মনসিংহে অধিক্ষেত্রে চাউলের স্থিতিশীল রাখার লক্ষে উপজেলা রাইস মিল ওনার্স এসোসিয়েশন এর নেতৃবৃন্দসহ রাইস মিল মালিকদের সাথে মতবিনিময় করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনবান্ধর সরকারী কর্মকর্তা শেখ হাফিজুর রহমান।

২২শে মার্চ রবিবার সন্ধ্যা-৭ঘটিকায় তিনি তার কার্যালয়ে উপজেলা রাইস মিল ওনার্স এসোসিয়েশন এর নেতৃবৃন্দসহ রাইস মিল মালিকদের সাথে এই মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়ে ব্যবসায়ীদের কে চাউলের দাম স্থিতিশীল রাখতে সকলকে আহবান জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমান । মতবিনিময় কালে তিনি ময়মনসিংহ সদরে চাউলের বর্তমান বাজার নিয়ে মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে গরীব দুঃস্থ মানুষের কল্যাণের বিভেচনা মুল্য নির্ধারিত করে এর অতিরিক্ত মুল্য বিক্রি না করতে সকলের প্রতি আহবান জানান ইউএনও শেখ হাফিজুর রহমান। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করে ব্যবসায়ী ও রাইস মিল মালিকরা- চলমান অামন মৌসুমে লোকসান দিয়ে হলেও চালের দাম স্থিতিশীল ও চালের মূল্য এক টাকাও বৃদ্ধি পাবেনা বলে ইউএনও নিশ্চয়তা প্রদান করেন। এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন,জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হামুদুর রহমান, জেলা রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আলী, চাউল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিধুভূষণ সাহা রায়, সদর উপজেলা রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান, মিল মালিক বদিউজ্জামাল বাবুল, মেছুয়া বাজার পাইকারি ও খুচরা চাউল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান টিপু,সমিতির অন্যতম নেতা হাফিজুর রহমান, ভাই-বোন অটো রাইস মিলের মালিক সাইফুর রহমান,এ আর অটো রাইস মিলের মালিকসহ সদর উপজেলার সকল মিল মালিক ও চাউল ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমান মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন- দেশে যে মহামারী সৃষ্টি হয়েছে তা শুধু এই দেশেই নয়, বিশ্বের কয়েকটি রাষ্ট্রেই এই মহামারী এই করোনা ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছে, এই ভাইরাস বাংলাদেশেও মানুষকে আক্রমণ করছে, ইতিমধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেছে। দেশের এই পরিস্থিতিতে মানুষ যেখানে বিপদের মুখে আছে, সেখানে শুধু চাউল নয়,নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিস পত্র মানবিক কারণেই মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে, সে ক্ষেত্রে মানুষের দুর্ভোগের সুযোগ নিয়ে কেউ যদি কোন প্রকার জিনিষ পত্রের মূল্য বৃদ্ধি করে, দুর্ভোগের মধ্যে মানুষকে আরো হয়রানি করার চেষ্টা করে, তাহলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না, সকলকে আইনের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মতবিনিময়ে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সদর উপজেলায় চাউলের প্রতি খুচরা বিক্রেতাকে কেজি প্রতি “বিআর -২৮/২৯/৪৯, স্বর্ণা-৫” চালের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৭ টাকা এবং ৫০ কেজির বস্তার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৮৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

এছাড়াও ইউএনও শেখ হাফিজুর রহমান নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল জিনিস পত্রাধির মুল্য স্থিতিশীল রাখতে সকল ব্যবসায়ীদের আহবান জানাচ্ছেন ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে অতিরিক্ত মুল্য নেওয়ার অপরাধে নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায়সহ ভোক্তা অধিকার আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ায় উপজেলার প্রতিটি বাজারে দ্রব্য মুল্য নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে সদরবাসীর জানায়।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!