আরিফ রববানীঃ
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকার, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংগঠন জনসাধারণকে সচেতন করিতে লিফলেট, স্যানিটাইজার, মাস্ক ও খাবারসহ বিভিন্ন উপকরন বিতরন করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। এছাড়াও সোনারগাঁও পুলিশের পক্ষ থেকে জনগনকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে সচেতন করতে থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় হাতধোয়ারও ব্যবস্থা করে ওসি মনিরুজ্জামান। তারপরও সচেতন হচ্ছে না এক শ্রেণীর লোকজন। সরকারী নির্দেশ অমান্য করে গণজামায়েত আবাদে ঘুরাফেরা ও চায়ের দোকানে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিচ্ছে এতে করে করোনার ঝুঁকি কয়েকগুন বেড়ে যাচ্ছে। তাই করোনার বিস্তার ঠেকাতে জেলা পুলিশের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর হয়ে মাঠে নেমেছে ওসি মনিরুজ্জামান নেতৃত্বাধীন সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নানা পরামর্শ আর নির্দেশনার পরেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা আসেনি। বরং স্বাভাবিক সময়ের মতোই সবাই চলাচল করছেন। এমনকি, বিদেশ ফেরতরাও নিজেদের ইচ্ছামতো চলছেন।
এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে সোনারগাঁয়ের কোথাও কোন চায়ের দোকান খোলা থাকবে না। থাকবেনা কোন মানুষের গনজামায়েত ও আড্ডা। সরকারী আদেশ অমান্য করে যদি কেউ অযথা আড্ডা ও গণজামায়েত সৃষ্টি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তিনি আরো জানান, জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না, আর গেলেও তাকে জিজ্ঞাসা বাদের মুখোমুখি হতে হবে। আর এই নির্দেশনা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নেমেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এই অভিযান কঠোর ভাবে চলবে। তাই তিনি সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সকল বাড়ীতে অবস্থান করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন সোনারগাঁও বাসীকে।