আরিফ রববানী।।
সরকারের কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে,সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের রাজগঞ্জ (সাহেব কাচারি) বাজার সংলগ্ন এ্যাগ্রোটেক ইন্টারন্যাশনাল লিঃ নামক একটি কার খানা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তপক্ষ। এর আগেও এই কারখানার কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারের বহু সিদ্ধান্ত,নিয়ম-কানুন ও আইন অমান্য করার অভিযোগ থাকলেও অধ্যবদি এর বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ার স্থানীয় জনতা ও কারখানা শ্রমিকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে-২১শে ফেব্রোয়ারী,২৬শে মার্চ,১৬ই ডিসেম্বর,১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের সরকারী ছুটি সহ কোন সরকারী ছুটি শ্রমিকদের ভাগ্যে জুটেনা।
চলমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ সহ ২০২০সালের ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সরকারি ছুটির ঘোষণা থাকলেও ছুটি জুটেনি শ্রমিকদের কপালে। কোম্পানির মূলগেইটে তালা ঝুলিয়ে ভিতরে শতশত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়েছেন কোম্পানির কর্তৃপক্ষ। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও সমালোচনা হলেও চাকরী হারানোর ভয়ে কাজ করতে বাধ্য হয়েছে শ্রমিকরা।
চাকরি হারানোর ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতা দিবসে এ্যাগ্রোটেক ইন্টারন্যাশনাল লিঃ শ্রমিকদের বাধ্য করেছে তাদের কর্মস্থলে আসতে। তারা বাধ্য হয়ে চাকরি হারানোর ভয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ করতে বাধ্য করেছেন।
অপর দিকে দেশে মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলা বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিদের কোয়ারেন্টাইন করা বাধ্যতামূলক থাকলেও সম্প্রতি ৮/১০ দিন আগে ভারত থেকে আশা কোম্পানির প্রডাকশন ম্যানেজার (পিএম) মানছেনা কোয়ারান্টাইন। তিনি স্বাভাবিক ভাবেই শতশত শ্রমিকদের সাথে মিশে কাজ করে যাচ্ছেন।এতে সরকার করোনা মোকাবেলায় যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তাতে কোম্পানির বিদেশ ফেরত পিএম এর সংস্পর্শে কোম্পানির শত-শত শ্রমিকরাও রয়েছে করোনা ঝুকিতে।
এব্যাপারে ফ্যাক্টরী ম্যানেজার জুবায়ের এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ষ্টোর অফিসার রুহুল আমিনকে ফোন ধরিয়ে দেন, এরপর তিনি জানান, আজ অফিস বন্ধ, তাহলে আপনি অফিসে কি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনে বলেন-অফিসে ঘুরতে এসেছিলাম বলে ফোন কেটে দেন।
পূনরায় ফোন করে ফ্যাক্টরী ম্যানেজারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের অফিস আজ বন্ধ। অফিসে প্রবেশের কথা বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজার (পিএম) এর বিদেশ ফেরতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ইতস্ততা বোধ করে বলেন, না মানে আমাদের প্রোডাকশন ম্যানেজার (পিএম) একমাস আগে হায়দারাবাদ থেকে এসেছেন, তার নাম চেন্না, তাকে একটি কক্ষে আলাদা রাখা হয়েছে। পরে কোম্পানির ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে তিনি বলেন অনুমতি নেই।