আরিফ রববানীঃ
করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতি অবশ্যই একটি বাড়তি চাপ হয়ে নেমে এসেছে দরিদ্র মানুষের ওপর। সরকারের নির্দেশে এসময় বেশিরভাগ মানুষ নিজ ঘরে আবদ্ধ হয়ে সময় কাটাচ্ছে। ফলে দরিদ্র-খেটে খাওয়া মানুষের উপার্জনের পথ এক-রকম বন্ধ হয়ে গেছে।
এমতাবস্থায় কোয়ারন্টোইন সময়ে কিভাবে রক্ষা পাবে হতদরিদ্র ও দৈনিক স্বল্প আয়ে করে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষগুলো? ব্যক্তি উদ্যোগে এমন দুঃসময়ে পাশে দাড়িয়ে খেটে খাওয়া এই মানুষদের ঘরে-ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন ত্রিশাল পৌরসভার দুইবারের নির্বাচিত জনপ্রিয় মেয়র তরুণ রাজনীতিবিদ উপজেলা আওয়ামিলীগ নেতা আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান আনিস ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী মহিয়সী নারী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়ন ও গরীবের কষ্ট লাগবে তিনি পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খেটে খাওয়া মানুষের কল্যাণে এগিয়ে এসে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করছেন তিনি।
মেয়র আনিস তার এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য পরিচিতদের ও সামর্থবানদের আহ্বান জানান। তার এই কার্যক্রমের পরিধি উপজেলাব্যাপী পালন করা হবে বলে জানান পৌর কর্মকর্তা ও তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
এদিকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার এই কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তিনি নিজেই । এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র বলেন, খাবার পৌঁছে দেয়ার সময় ত্রাণ কার্যক্রমে দেখা যায় বেশ ভিড় হয়। কিন্তু আমাদের এই কার্যক্রমে কোন ভিড় থাকবে না। কেননা খাবার পৌঁছানোর আগে থেকে নির্দিষ্ট স্থানে আমাদের লোকজন কর্মী থাকবে। তারা সেখানে পরিবারের তালিকা তৈরি করে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেবে ঘরে-ঘরে গিয়ে। অর্থাৎ তার পাশের ঘরের মানুষও বিষয়টি জানতে পারবে না।
ত্রিশাল পৌরসভায় একজন মানুষও অনাহারে থাকবে না বললেন – মেয়র আনিছুজ্জামান করোনা ভাইরাস মহামারী অবস্থায় মানুষ গৃহবন্দী হয়ে আছেন।তারা জীবিকা নির্বাহের জন্য কোন কাজ করতে পারছেনা,এঅবস্থায় নিন্ম আয়ের কোন নাগরিক যদি অভাবে থাকেন, না খেয়ে থাকে যদি সংবাদ পাই তাহলে, আমি নিজে গিয়ে তার বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিবো
এদিকে করোনা প্রতিরোধে ত্রিশালের মেয়র শুরু থেকেই সচেতন। হাজার হাজার মানুষকে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ, পৌরশহরে বিভিন্ন মোরে মোরে হাত ধুয়ার জন্য সাবান ও পানির ড্রাম বসিয়েছেন, প্রতি মসজিদে সাবান দিয়েছেন হাত ধুয়ার জন্য। পৌরসভার গাড়ীতে করে পৌরশহরের রাস্তা গুলোতে ভাইরাস প্রতিরোধে ঔষধ ছিটিয়েছেন, পৌরসভায় কর্মরত লোকদিয়ে মশা ও ভাইরাস প্রতিরোধে সারা এলাকায় ঔষধ ছিটিয়ে আগে থেকেই মানুষের পাশে রয়েছেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী করোনা ভাইরাস ও যে কোন পরিস্থিতিতে মোকাবেলার জন্য পৌরসভায় ২০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন। প্রতি ওয়ার্ডেও রয়েছে এই কমিটি। করোনা সচেতনতায় ত্রিশালের মেয়র ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহলে বার বার মতবিনিময় করে সরকারের সিদ্ধান্তকে অনুস্বরণ করে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন মেয়র।
ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ ঘরে বসে নেই, জীবন ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সমাজের প্রতিটি শ্রেণী-পেশার মানুষের খোজ খবর রাখছেন। সেই সঙ্গে এই পরিবহন কাজে জড়িত সকলের ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।