Header Image

ত্রিশালে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলায় আহত-৫।

 

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

 

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছে। ইউনিয়নের নলচিড়া গ্রামের ফাতেমা নগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় গুরুতর আহত হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মোতালেব নামক সেই প্রতিবাদকারী। শনিবার ২৮শে মার্চ দুপুর ২টায় উক্ত ঘটনা ঘটে।

ইভটিজিং,নারী নির্যাতন,বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকার যেখানে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে সেখানে ইভটিজিং এর মত জখন্য একটা অপরাধের প্রতিবাদ করায় প্রতিবাদকারীকে নির্মম ভাবে আঘাত করে আবার পুলিশ ঢেকে এনে উল্টো প্রতিবাদকারীকে হয়রানির বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে তীব্র সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।

ঘটনার সূত্রে জানা যায় ইউনিয়নের নলচিড়া এলাকায় অবস্থিত মসজিদে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা মক্তব পড়তে যাই আসার পথে একই এলাকার স্থানীয় নুরু মিয়ার পুত্র সেলিম মিয়া (২৫) প্রায়ই মক্তব পড়ুয়া মেয়েদের উত্তুক্ত করতো। বৃহস্পতিবার আব্দুল মোতালেব হোসেন ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদে সেলিম মিয়া কে ইভটিজিং এর ব্যাপারে সতর্ক করলে শনিবার ইভটিজিং কারী সেলিমের নেতৃত্বে স্থানীয় হাসু মিয়ার পুত্র শফিকুল ইসলাম ওরফে রাজ্জাক (৩০), আবুল হোসেনের পুত্র নুরু মিয়া, হাসিম মিয়া, আবুল কালাম, গংরা মোতালেবকে প্রতিবাদের আক্রোশের জের হিসেবে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে আসার সময় সেই মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার নিষেধ করে। এই ঘটনায় তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে সেলিমের নেতৃত্বে আবুল কালাম, হাসি মিয়া,নুরু মিয়া, শফিকুল ইসলাম ওরফে রাজ্জাক,আরজু,শামিম গংরা উত্তেজিত হয়ে মোতালেবের উপর হামলা চালালে স্থানীয় আব্দুল জলিলের পুত্র আলম মিয়া, হাসেন আলীর পুত্র আব্দুর রাজ্জাক,আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র কালাম হোসেন, আব্দুল জলিলের পুত্র রতন মিয়া,মোতালেব কে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেউ এলোপাতারি মারধর করে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করলেও মাথায় প্রচন্ড আঘাত করায় আহত মোতালেব হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। আহত মোতালেব হাসপাতালে ৬নং ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহত মোতালেব হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার অভিযোগ করেন- ইভটিজিং কারী বখাটে এসব সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার জোর এত যে তারা তার স্বামী মোতালেব হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে ক্ষান্ত হননি বরং নিজেকে সাধু সাজাতে তাদের উপর উল্টো চাপ প্রয়োগের জন্য পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করেছে। সুফিয়া জানায় তার স্বামী মোতালেব হোসেনের অবস্থা গুরুতর বিধায় স্বামীর চিকিৎসায় হাসপাতালে ব্যস্ত থাকায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময় এই ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারেননি, তবে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া কার্যক্রম চলছে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!