আরিফ রববানীঃ
করোনা প্রতিরোধে সাধারণ জনগনকে সরকার ঘরের বাহিরে আসতে নিষেধ করায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষেরা। এমন লোক আছে আছে কাজে গেলে ঘরের পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার জুটে। এই মহামারী সংকটে ঘরের যেতে না পাড়ায় মানুষ খাদ্য সংকটে অনসহারে দিনাতিপাত করছে।
অবাধে চলা ফেরা করা থেকে বিরত থাকার জন্য বিভিন্ন ভাবে জনসচেতনতামুলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে সরকার পাশাপাশি বর্তমান সরকার, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন কর্মহীন দরিদ্র এসব শ্রমজীবি মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে।
বাংলার মহিয়সী নারী,বঙ্গকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিচ্ছুজ্জামান ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫হাজার মানুষের খাবারের দায়িত্ব নিয়ে ৩০শে মার্চ রাতের আধাঁরে প্রায় দুই হাজার অসহায় হতদরিদ্র দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেছেন।
শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের বিষয়টি বিবেচনা করে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সোমবার সকাল থেকে রাত মেয়র তার পর্যন্ত নিজস্ব সেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটি ওয়ার্ডে তালিকা করে চা দোকানী, দিনমজুর, ও নিন্মআয়ের মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, এক কেজি আলু, পেয়াজ ও তেলসহ খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিয়েছেন।
এছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রকোপের শুরু থেকে ত্রিশাল পৌরসভা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছে মেয়র আনিছ । এরমধ্যে পৌরশহরের বিভিন্ন পয়েন্টে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরন ছাড়াও পৌরসভার কর্মীদের মাধ্যমে পৌরশহরে জীবানুনাশক ঔষধ ছিটানোসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছেন তিনি।
মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ বলেন, মহামারি রুপে ধারন করা করোনা ভাইরাসের সংক্রামণরোধে সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ রয়েছে সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যান-বাহন। যাদের কোন আয় রোজগার নেই, সেসব পরিবারের তালিকা করে তাদের কাছে আমরা খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিয়েছি। আজ থেকে তালিকা করে আরো ৫ হাজার নিন্মআয়ের অসহায় মানুষের মাঝে পর্যায়ক্রমে খাদ্রসামগ্রী পৌছানোসহ অন্যান্য সহযোগিতা করা হবে। তিনি বলেন- আমি বেচে থাকতে ত্রিশাল উপজেলার একজন দরিদ্র মানুষ না খেয়ে থাকবেনা বলে জানিয়ে যেখানে যাদের খাদ্য সহযোগিতার প্রয়োজন হবে তাদের তিনি যোগাযোগ করারও আহবান জানান মেয়র।