বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চিনের শানজু শহর থেকে ফেরত নাহিদ হাসান রাকিব নামে এক শিক্ষার্থী হোম কোয়ারেন্টাইন না করে ময়মনসিংহ নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মান্নানের সাথে অবাধে ত্রাণ বিতরণে অংশ নিচ্ছেন। নাহিদ হাসান রাকিব চিনের শানজু শহরের শানজু ইনষ্টিটিউট অব লাইট ইন্ডাস্ট্রীজ ইউনিভারসিটিতে ইন্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করেন। নাহিদ হাসান রাকিব নগরীর বাত্তিরকল এলাকার হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
এ বিষয়ে নাহিদ হাসান রাকিব বলেন, আমি গত ২৯ জানুয়ারী চিনের শানজু শহর থেকে আমার এক বন্ধু শাহরিয়ার গনি দিগন্তসহ বাংলাদেশে আসি। দেশে ফেরার পর আমি হোম কোয়ারেন্টাইন করিনি। তবে একমাস বাসাতেই ছিলাম। আপনি চিন থেকে দেশে আসছেন প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবগত করিনি। তাহলে আপনি অবাধে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে কিভাবে অংশ নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি, আমি দেশে আসছি প্রায় আড়াই মাস হয়ে গেছে। আমার ধারণা আমি করোনায় আক্রান্ত না। এ জন্যই ত্রাণ বিতরণে অংশ নিচ্ছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ৮ প্রজাতির করোনার মধ্যে বাংলাদেশের করোনার প্রজাতিই এখনো চিহ্নিত হয়নি। তাই এই ছেলে সংক্রামিত কিনা সেটা বলা কঠিন। কাউন্সিলর আব্দুর মান্নানের ছেলের পরিচিত একসাথে চলাফেরা বন্ধুত্বের সম্পর্ক বড় ভাই ছোট ভাই। সে জেনেও এই ছেলেকে নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়া এভাবে ত্রাণ কাজে নিয়োজিত করায় মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এই সময়ে এটা কাম্য নয়।
এ বিষয়ে জানার জন্য ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল মান্নানকে ফোন করলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খোজ খবর নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।