মোঃআল-আমিন টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের পূবাইলের কোদাবো বাজার এলাকায় চলতি মাসের চার তারিখে মিতু(২৩) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।মৃত মিতু বরিশালের বাউফলের বজলুর রহমানের মেয়ে।পুলিশ ঘটনার দিন লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করে।
নিহতের মামা রবিন জানান,দু’হাজার আঠারো সালে ঘুরতে যেয়ে মিতুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে গাজীপুরের পূবাইলের কোদাবো এলাকার আফজাল খানের ছেলে ফিরোজ খানের(২৮) সাথে।কিছু দিন পর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় দু’জনের।বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই সংসারে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। মিতু চাপা স্বভাবের মেয়ে বলে নিজের দুরবস্থার কিছুই বাবার বাড়ি জানাতো না।বিভিন্ন সময় শাশুড়ি পারিবারিক বিষয় নিয়ে জ্বালাতন করত মিতুকে।
মিতুর বাবা জানান, গত (মার্চ) মাসের শেষ সপ্তাহে মিতু অভিমান করে বাবার বাড়ি চলে যায়। কিছুদিন বাবার বাড়ি অবস্থানের পর চলতি মাসের তিন তারিখ সকালে মেয়েকে শশুড়বাড়ি দিয়ে যাই।চার তারিখ রাত আনুমানিক দশটার দিকে লোকমুখে শুনতে পাই আমার মেয়ে আত্নহত্যা করেছে।খবর শুনে পাশের এলাকার ভাড়া বাসা থেকে দৌঁড়ে ছুটে যাই মেয়ে শশুরবাড়ি।দেখি মেয়ে তার সযনকক্ষের খাটে পড়ে আছে।
নীহতের মামা আরও জানান,, ঘরের দরজা স্বাভাবিকভাবেই খোলা ছিলো।ঝুলন্ত অবস্থায় আমরা মিতুকে দেখিনি।তবে হাতে ও ডান পাশের গালে জখমের চিহ্ন দেখা যায়।তাদের ধারনা মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নীহতের শাশুড়ি দাবী করেন, মিতু ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
স্থানীয়রা ও নীহতের স্বজনরা এ ঘটনার তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সাস্থীর দাবী করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফরহাদ বলেন, আমরা নীহতের লাশ সয়ন কক্ষ
থেকে উদ্ধার করি।প্রাথমিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না,তবে
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে আসলে ঘটনার প্রকৃত কারন জানা যাবে।