Header Image

আমার সাংবাদিকতার পথ প্রদর্শক ভাইজান

 

হক গ্রুপের প্রকাশনা বাংলাদেশের প্রভাবশালী দৈনিক আমাদের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে এক্রিডিটেশন কার্ড পান খায়রুল আলম রফিক । পাশাপাশি বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ(বনেক) ও ২৪ ঘণ্টা নিউজ. কম এর এডিটর-ইন-চিফ খায়রুল আলম রফিক। সাংবাদিক আবু বকর সিদ্দিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমার ভাইজান দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মিয়াজী সেলিম আহমেদের হাত ধরে রাজধানী ঢাকাতথা সারাদেশে সাংবাদিকতার পরিধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছি । মফস্বলে আমার সাংবাদিকতার শুরু তিনি । এরপর এর আকর্ষণ আমাকে গ্রাস করে । ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রুদ্রবার্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে সাংবাদিক জীবন শুরু করেন খায়রুল আলম রফিক । তৎপরবর্তীকালে অর্থাৎ ২০১১ সালের নভেম্বরে আলোর জগৎ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার, ২০১২ সালের মার্চে সাংবাদিক মনোনেশ দাস সম্পাদিত দৈনিক ময়মনসিংহ বার্তার প্রকাশক ছিলেন তিনি । ঐ সময় থেকে দৈনিক শাশ্বত বাংলা পত্রিকায় ২০১৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন ছাড়াও ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকায় সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি । এরই মাঝে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত বাংলাবাজার পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি , দেশের শীর্ষ অনলাইন বিডি২৪লাইভ.কম এর বিশেষ প্রতিনিধি । এরপর ২০১৯ সালেল ১লা জানুয়ারি থেকে হক গ্রুপের দৈনিক আমাদের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি একই সাথে চীফ ক্রাইম রিপোর্টার হিসাবেও কর্মরত রয়েছেন ।
মূলত দৈনিক আমাদের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মিয়াজী সেলিম আহমেদের উৎসাহ উদ্দীপনা আর দীক নির্দেশনায় রাজধানী, ঢাকা এবং সারাদেশে সাংবাদিকতার বিস্তৃতি ঘটে । তার মাধ্যমেই দেশে আজ পরিচিত একজন সাংবাদিক হতে পেরেছি বলে যোগ করেন খায়রুল আলম রফিক । বলেন তিনি খুবই দক্ষ একজন সাংবাদিক । তার মাধ্যমে মৌলিক সাংবাদিকতা শিখেছি । শিখেছি মনোযোগী এবং পরিশ্রমী হতে। যে কারণে আমাকে কৌতূহলী এবং জানার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিকতায় রাজধানী ঢাকার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। আমি এই নগরকে চিনতাম না, আমার কোন কন্টাক্ট ছিল না । সবই দোঁড়গোড়ায় পোঁছে দিয়েছেন আমার ভাইজন মিয়াজী সেলিম আহমেদ। এর আগে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ কোথা থেকে শুরু করতে হবে তা শিখিয়েছেন আমার গুরু সাংবাদিক ও ব্লগার মনোনেশ দাস ।
সাংবাদিকতা পেশার প্রতিবন্ধকতার বিভিন্ন বিষয়ে খায়রুল আলম রফিক বলেন, সাংবাদিকদের বিরাট সমস্যা, সংবাদ সংগ্রহের জন্য সরকারি দল, বিরোধী দল, আমলাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে আসতে হয়। কিন্তু তাদের অধিকাংশই চান, সবসময় তাদের পক্ষেই লিখব! সমালোচনা করা চলবে না! অথচ তাদের প্রতিপক্ষরা এবং অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে দিচ্ছেন । আবার একই বিষয় সাংবাদিকরা লিখলে ক্ষিপ্ত হয়ে যান । তখন মনে হয়, আমাদের জীবনটা সেমি পাবলিক লাইফ।

সংবাদ সংগ্রহের জন্য উপরোক্তদের ঘনিষ্ঠ হওয়া সাংবাদিকতার পুরনো অভ্যাস। তাদের পরিবেশটা অনেকাংশে অসহিষ্ণু হয়ে গেছে। তবে বিশ্বাস করি, আমার সম্মান আমার লেখায়, আমার খবরে, আমার প্রকাশে। সাদা ও কালোর মধ্যে ধূসরতা থাকে। সেই ধূসরতার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে প্রকৃত সত্য। অতীতে অনেক কিছু ভাল ছিল। অতীতে অনেক কিছু খারাপও ছিল। আজও অনেক কিছু ভাল, অনেক কিছু খারাপ আছে। কাজেই সাংবাদিকতায় হাত ধুয়ে ফেলার কোনও কারণ নেই।
আধুনিক সাংবাদিকতায় নিরপেক্ষতার প্রশ্নে গ্রহণ শুরু হয়েছে। কোনও সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিক কোনও ব্যক্তি বা দল যে উঠছে, তাকে টেনে নামাতে পারেন না। আর যে নামছে, তাকে টেনে তুলতে পারে না। অনেক ভাল জিনিস অবহেলিত হয়। আর ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ায় ধারে নয়, নামে কাটে, এমন পণ্যও বহু দেখছি। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেই ব্র্যান্ড সর্বস্বতায় আমাদের দায়িত্ব কম নয়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!