রুবেল মাহমুদঃ
রবিবার সকাল থেকে রাজধানীর উত্তরায় উত্তর খানে টেক্স এপারেলস এক্সপোর্ট লিমিটেড গার্মেন্টসের শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা উত্তর খান মাজার চৌরাস্তায় প্রায় দুই ঘন্টা অবস্থান করে এলাকার বেশ কয়েকটি সড়ক অবরোধ করে রাখে।
ওই গার্মেন্টসের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিন মাস তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। বকেয়া বেতন দাবি করলে কারখানার কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করছে। করোনাভাইরাসের এ সংকটকালে জীবনযাপন করা এমনিতেই অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। তার ওপর তিন মাস বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এই ব্যাপারে টেক্স এপারেলস এক্সপোর্ট লিমিটেডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা দুই মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছি না। কারখানা কর্তৃপক্ষ দেই-দিচ্ছি করে ঘুরাচ্ছে। এখন আমাদের ঘরে খাবার নেই। বাড়ি ভাড়া ও দোকান বাকি পড়ে আছে। পাওনাদারদের জন্য বাসা থেকে বের হতে পারছি না। এর মধ্যে এলাকায় লকডাউন করা হয়েছে। এখন আমাদের না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে।
কয়েকজন গার্মেন্ট শ্রমিক বলেন, সরকার যে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে তা আমরা সবাই তো পাইনা, আবার কিছু ত্রাণ এর জন্য কেবলমাত্র এই এলাকার ভোটারদের দিবে এমন লিষ্ট করা হচ্ছে, এলাকার বিত্তবানদের ত্রাণ গুলোও মুখ চিনে চিনে দেয়া হচ্ছে। যারা অন্যান্য জেলা থেকে এসে উত্তর খানে কাজের সুবাদে বসবাস করছে, তাদের জন্য সরকারি কোনো ত্রাণ বা সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে না।
এদিকে বেতনের দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের অবরোধ ও বিক্ষোভের কারণে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ ২০শে এপ্রিল বেতন পরিশোধের ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।
এব্যাপারে উত্তর খানে থানার একজন প্রশাসন কর্মকর্তা জানান, বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও অবরোধ করে। পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক তবে দেশের এমন পরিস্থিতিতে গার্মেন্টসের মালিকদেরকে সহনশীল আচরণ করা উচিত বলে মনে করি, এবং আমরা সেদিকে খেয়াল রাখবো।