স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের ভাওয়ালিয়াপাড়া গ্রামে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে বেআইনি ভাবে ধারালো ও মারাত্বক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কবরস্থানের বাউন্ডারী ওয়াল ভাংচুর করে এবং এ নিয়ে সংগঠিত সংঘর্ষে রনি মিয়া (১৫) নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।(মামলা নং ১৮, তারিখ ০৮-০৪-২০২০)
থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল ২০২০ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের ভাওয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে নজরুল ইসলামের সাথে কবরস্থানের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মৃত আরফান আলী ছেলে আকরাম হোসেন (৪৫), আঃ রহিমের ছেলে জামান মিয়া (৩৫), মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে হামিদ (৩২) ও সেলিম (৩৫), মৃত আজগর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৫) ও শহিদ মিয়া (৫০), নূর মোহাম্মদের ছেলে কামাল হোসেন (৩৫) দের সাথে বিরোধ চলে আসছে।
ঘটনার দিন আকরামের নেতৃত্বে উল্লেখিত লোকজনসহ আরও কয়েকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে নজরুল ইসলামের বসত বাড়ীর পশ্চিম পাশে কবরস্থানে অনধিকার প্রবেশ করে সন্ত্রাসী কায়দায় কবরস্থানের পশ্চিমের ইটের পাকা ওয়াল ও নতুন কবর ভাংচুর করে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। কবরস্থানের ওয়াল ভাংচুরে বাঁধা দিতে গেলে নজরুল ইসলামের ভাতিজা রনি মিয়া (১৫) ও রাকিব মিয়া (২৫) কে আঘাত করলে রনির ডান হাতের কুনির নিচে অস্ত্রের আঘাত লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। পরে এলাকাবাসী ছামদানী, মনির হোসেন, মোখছেদ আলী, রফিজ উদ্দিনসহ আরও অনেকে রনি ও রাকিবকে উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
নজরুল ইসলাম জানান, এখনও এলাকায় অস্থিতিশীলকারী ত্রাস, মাদক কারবারী আকরাম ও তার সহযোগিরা হুমকি দিচ্ছে, আবার কবরস্থানের জমিতে প্রবেশ করলে বাড়িঘর ভাংচুর ও বেদখল দিয়ে জমি থেকে উচ্ছেদ করে প্রাণে মেরে লাশ গুম করবে।
নজরুল ইসলাম তার ও তার পরিবারের লোকজনকে বাঁচাতে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।