আরিফ রববানীঃ
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে ময়মনসিংহ সদর
উপজেলার আনাচে-কানাচে ভোর সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমান। সেই সাথে উপজেলাবাসীকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন ইউএনও।
সারা দেশের মানুষ যখন করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হোম কোয়ারেন্টইনে আছেন, ঠিক তখনই ইউএনও শেখ হাফিজুর রহমান তার পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি নিজ গরজে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কখনো খাবার হাতে, কখনো বাজার নিয়ন্ত্রনে, কখনো উপজেলাবাসীর সুরক্ষা নিশ্চিত করণে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে,ঘরে থাকতে উৎসাহিত করতে বিরামহীনভাবে ছুটে বেড়াচ্ছেন উপজেলার প্রতিটি গ্রামে, গঞ্জে।
প্রতি নিয়ত সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা সদরের হাট, ঘাগড়া,দাপুনিয়া,অষ্টাধর,বোররচর,পরাণ গঞ্জ,সিরতা,চর নিলক্ষিয়া,ভাবখালীসহ উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এবং বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ইউএনও। এ সময় বিভিন্ন অপরাধে অর্থদন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া বিকেল ৫টার পর ফার্মেসীর দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ থাকবে। সকল যানবাহন বন্ধু থাকবে।
তারই ধারাবাহিকতায় অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের সাহায্যের আস্থার স্থান ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমান ১২ইএপ্রিল রাত ৯.১০ ঘটিকায় ব্রহ্মপুত্র গুচ্ছগ্রামের কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য দুলালবাড়ী যাওয়ার পথে বালু ভর্তি ট্রাক দেখতে পেয়ে তা থামিয়ে ট্রাক চালককে জিজ্ঞেস করেন ট্রাক তো বন্ধ থাকার কথা, আপনি ট্রাক নিয়ে বের হলেন কেন? উত্তরে ট্রাক চালক বললেন স্যার আমার সংসারে চাল নাই, বাচ্চাদের খাবার জোগাড় করতে বের হয়েছি। এ কথা শুনেই মানবিক গুণাবলির অধিকারী মানব প্রেমিক মানবিক ইউএনও তাকে ১০ কেজি চাল, ডাল, তেল, আলু সম্বলিত এক বস্তা মালামাল তাৎক্ষণিক তার হাতে তুলে দেন। এই মালামাল পেয়ে ট্রাক চালক খুশিতে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন সরকারের প্রত্যেকটি বিভাগে যেন এ রকম মানবিক স্যারের আর্বিভাব হয়। সর্বোপরি ইউএনও শেখ হাফিজুর উপজেলা ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আপামর জনসাধারণের মাঝে যুগ যুগ ধরে আদর্শ হিসেবে থাকবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন ময়মনসিংহের সচেতন মহল।