এনামুল হক:-
যথাসময় যে কখন আদর্শ সময় হবে আজ আমাদের অজানা। ইতিমধ্যে আমরা সকলেই অবগত আছি সারা বিশ্ব আজ থমকে আছে।বিপর্যস্ত বিশ্ব বিবেক।বেদনা বিধুর বৈশ্বিক মানবতা।করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা থেকে প্রাণ বাঁচাতে শিক্ষা জীবন আজ চার দেয়ালে আবদ্ধ।
ছাত্র-ছাত্রীর মাঝেও আজ করোনা মহামারীর ভয়ের থাবা। মনে বাড়ছে ভয় নষ্ট হচ্ছে ছাত্র জীবন।প্রাণ ও শিক্ষা নিয়ে দুর্বল হচ্ছে মন।ছাত্র-ছাত্রীরা পড়া-লেখা ও প্রাণ নিয়ে সাহস হারাতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীদের মনের সাহস বাড়াতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশাসন ও সরকার এক সাথে কাজ করছে। তথ্য অধিদফতর(পিআইডি)অয়েব সাইট সূত্র মতে,বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় পুরো বিশ্ব আজ প্রায় অচল।
করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আমাদের উচিত সচেতন হওয়া,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। শিক্ষার্থীদের ঘরে বসে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচারিত আমার ঘরে আমার স্কুল শিরোনামে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাসসমূহ মনোযোগ দিয়ে দেখা ও আশস্ত করার আহবান।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষ শ্রেণি শিক্ষকদের ক্লাসসমূহ ভিডিও ধারণ সম্প্রচার করা হচ্ছে।সকলেই বাসায় থাকা,সুস্থ থাকা ও নিরাপদে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রত্যেক শিক্ষার্থী বাসায় বসেই টিভির মাধ্যমে ক্লাসে অংশ গ্রহণ করতে পারবে।সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পাঠদান কার্যক্রম চলবে।২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সেই ক্লাসসমূহ আবার পু:প্রচার হবে।তাছাড়া ক্লাসসমূহ আমার ঘর আমার স্কুল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ক্লাসটি দেখতে পারবেন।
শিক্ষক ক্লাস শেষে পাঠদানকৃত বিষয়ের ওপর বাড়ির কাজ প্রদান করবে। প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য শিক্ষার্থীরা আলাদা খাতায় তারিখ অনুযায়ী বাড়ির কাজ সম্পন্ন করবে এবং স্কুল খোলার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে জমা দেবে।বাড়ির কাজের ওপর প্রাপ্ত নম্বর মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
পৃথিবী সাঁজবে নতুন করে,বাঁচার পরিবেশ হবে নিরাপদ,সেখানে হাঁসা যাবে।মহান সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান আল্লাহ,এমাত্র তুমিই পারো সবাই কে রক্ষা করতে।