আরিফ রববানীঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে চলমান করোনা সংকটে নিয়মিতই,গরীব খেটে খাওয়া অসহায় কর্মহীনদের খোজ খবর নিচ্ছেন ত্রিশালে প্রাণের মানুষ,গরীবের বন্ধু মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান (আনিছ)। অসহায় মানুষের খোজ নিয়ে তাদের বিপদে-আপদে সহযোগিতার হাত বাড়ানো তার অভ্যাস। গরীবকে সহযোগিতা করতে না পারলে ঘুমেও শান্তি হয়না জনদরদী এই জনপ্রতিনিধির। গরীবের কষ্টের কথা শুনলে যিনি কষ্ট পান তিনি ত্রিশালের মেয়র আনিছ।
করোনা ভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্ব আজ নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে। যত সময় যাচ্ছে, ততই মৃত্যুর হার বাড়ছে । লাগামহীন হয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধকেও হার মানাতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এর বাহিরে নেই। বাংলাদেশে মৃত্যু ও আক্রান্তের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে, দেশের জন্য সুখবর অনেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছে।
প্রতিদিন নতুন করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। সেদিক থেকে বাংলাদেশও এখন কম ঝুকিতে নেই। এই ঝুকি ও মৃত্যু কমাতে এবং সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করছে দেশের মানুষ। বর্তমানে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা বাণিজ্য, বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান, দিন মজুরী ও যানবাহন চলাচলও। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালকসহ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা। খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে তাদের ঘরে।
এই সংকটের সময় ত্রিশালের মানুষকে সহযগিতা করতে জনপ্রিয় এই মেয়র কখনো ব্যক্তিগত উদ্যোগে আবার কখনো সরকারী ভাবে বরাদ্ধকৃত প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগী চাউল,ডাল,তেল,সাবান,লবন সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের কর্মীবান্ধব নেতা ও ও জনগণের দুঃসময়ের বন্ধু মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান (আনিছ)।করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু থেকে তিনি পর্যায় ক্রমে পৌরসভা ও প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তার এই মানবতায় ত্রিশালবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। ত্রিশালবাসীর মতে-
গরিব অসহায় মানুষের মাঝে মেয়র আনিছ
যে পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করেছেন এবং করছেন,
তার চারভাগের একভাগও যদি ত্রিশালের প্রত্যেক নেতারা বিতরণ করতেন, তাহলে সাধারণ মানুষ ছয় মাস ঘরে বসেই খেতে পারতো।।
মেয়র আনিছ বলেন, দেশ এখন অত্যন্ত সংকট মুহুর্ত সময় অতিবাহিত করছে। সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, যাবনবাহন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জনগণ র্কমহীন হয়ে পড়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জনগণ যেন এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারে তার জন্যই এই পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন।
সেইসাথে তিনি সকল মানুষকে অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন। এর ফলে মানুষের রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছেন। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বীত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। সেই সাথে তিন ফিট দুরত্ব বজায় রেখে জনগণকে চলাচল করতে অনুরোধ করে যাচ্ছেন মেয়র । রাস্তায় আসলেই মাস্ক এবং দিনে ১০-১২ বার ক্ষার জাতীয় সাবান কিংবা হ্যান্ড ওয়াস দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ বলেন, বিশ্বের ২০৩টি দেশ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আমেরিকার মত দেশ এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। সচেতনতাই পারে এই ভাইরাস থেকে জনগণকে মুক্ত রাখতে। সরকারী নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকার জন্য জনগলণকে আহবান জানান তিনি। সেইসাথে চোখ, নাক ও মুখে অপরিস্কার হাত না দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ত্রিশালবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে যাচ্ছেন মেয়র। একই সাথে ত্রিশালের অসহায় মানুষের পাশে দল মত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গকে পাশে থাকার অনুরুধ জানান তিনি।