সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া মহামারী নোভেল ভয়ংকর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবং লকডাউনে বন্দি বাড়িতে অবস্থান করা কর্মহীন অসহায় মানুষের চরম পরিস্থিতিতে মানবতার টানে এগিয়ে আসলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জননেতা আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম আমিন।
আগামী পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অগ্নিকন্যা বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জননেতা আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম আমিনের নিজ অর্থায়ন থেকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার ২৫০০ হাজার কর্মহীন অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন,
ওয়ার্ডে যেসব ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে সে গুলোর মধ্যে রয়েছে, ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ২ কেজি লবন, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি ছোলা, ১ লিটার সয়াবিন, ১টি সাবান।
আজ ২২ এপ্রিল”২০২০ইং দুপুরে সাতকানিয়া উপজেলার বারদোনা গ্রাম থেকে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া দুই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ২৫০০ কর্মহীন অসহায় পরিবারে এসব ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে। সামাজিক দুরত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের জনসমাগম এড়িয়ে কোন ধরণের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই এসব ইফতার সামগ্রী স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে হতদরিদ্রের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
এসব ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে নিজে উপস্থিত থেকে দিন-রাত কষ্টে করে যাচ্ছেন জননেতা আলহাজ্ব আমিনুল ইসলামের ব্যাক্তিগত সহকারী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মিরান হোসেন মিজান।
এবিষয়ে জননেতা আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম বলেন, এই মহামারী ভয়ংকর নোভেল করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব স্তব্দ হয়ে পড়েছে। তাই আমি বঙ্গবন্ধু অগ্নিকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন সাধারন কর্মী হয়ে উনার নির্দেশে এই দুর্যোগময়ে মানবতার সেবায় কর্মহীন অসহায় সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।আগামী পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে আমার নিজ অর্থায়নে আবারও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার ২৫০০ হাজার কর্মহীন অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষে আমার দলের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে এসব সামগ্রী কর্মহীন অসহায় মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আশা রাখি এর মাধ্যমে ঘরে আটকে থাকা কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষরা কিছুটা হলেও খাদ্য সংকট থেকে মুক্তি পাবে।দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে এলাকার বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
এই মহামারী ভয়ংকর নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হতে বাঁচতে হলে এবং নিজের পরিবারকে বাঁচাতে চাইলে সরকারের নির্দেশনা মেনে অবশ্যই বাড়িতে অবস্থান করতে হবে। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে করোনার ভয়াবহ প্রকোপ থেকে পরিবার,সমাজ ও দেশকে রক্ষা করা সম্ভব
ইনশা-আল্লাহ্।