মোঃআল-আমিন, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
করোনার কারনে গৃহবন্দী গাজীপুর সিটিকর্পোরেশনের মানুষের কাছে নতুন যন্ত্রনার নাম মশা।মশক নীধনে সিটিকর্পোরেশনের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ।স্থানীয়দের অভিযোগ ফগার মেশিনের মাধ্যমে যে ঔষধ প্রয়োগ করা হয়,সেগুলো কোন কাজেই আসছে না।
গাজীপুর সিটিকর্পোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডেই মশার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিটির ৪৭ নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা জানান, দিনে কিংবা রাতে,ঘরে বা বাহিরে চারিদিকে শুধু মশা’র রাজত্ব।কোথাও যেয়েও বলতে যেনো নিস্তার পাচ্ছেন না গাজীপুর সিটিকর্পোরেশনের সাধারন মানুষ।দিনের বেলা ঘরে অবস্থান, ঘুমাতে গেলে বা টয়লেটে গেলেও কয়েল হাতে করে নিয়ে যেতে হয়।করোনার জন্য প্রশাসনের নির্দেশে ঘরে অবস্থান করছি।ঘরে অবস্থান করতে যেয়ে প্রথমেই রক্তচোষা প্রাণীর সম্মুখীন হচ্ছি।এমনিতেই আয় রোজগার নেই তার উপর এক প্যাকেট কয়েলে ২ দিনও যায় না।এক প্যাকেট কয়েলের দাম টাকার অঙ্কে ৬০ থেকে প্রকার ভেদে ১০০টাকা।আমরা দিন আনি দিন খাই।কর্মস্থলে যেতে পারছি না অনেক দিন।খাবার জন্য লড়াই করছি, কিন্তু শান্তি পাচ্ছি না মশা’র কারনে।
সিটির ৫৫নং ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা জানান,সিটিকর্পোরেশনের লোকজন কি যে ঔষধ দেয় জানি না।তাদের ঔষধ দেয়ার পর বাহিরের সব মশা ঘরে এসে ঢোকে।তাদের ঔষধে মশা মরে না।করোনা আসার পর ঔষধ দেয়ার কোন খবরই নাই।
সিটির ৫৭ নং ওয়ার্ডের একজন অবিভাবক জানান,বাচ্চারা ঘরে বন্দি থেকে পড়াশুনা করতে পারছে না মশা’র জন্য।কয়েল ধরিয়ে রাখতে রাখতে ঘরে গন্ধ হয়ে যায়।ওদের স্বাশকষ্ট হয়।মশাড়ির ভেতরে কতক্ষণ থাকা যায়।সিটিকর্পোরেশনের কোন ধরনের বাস্তবমুখী কর্মকান্ড দেখছি না মশা’র বিরুদ্ধে।
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের সহঃ সার্জন ডা. তানজিলা আফরিন ইভা বলেন, দীর্ঘক্ষণ ঘরে বন্দি থাকার ফলে বাচ্চাদের বা বয়ষ্কদের মানুষিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।এক্ষেত্রে ঘরে থেকে নামাজ পড়া, টিভি দেখা,বই পড়া ও পরিবারের সদস্যরা একে অন্যের বিষয়ে গল্প করতে সময় পার করতে পারে। ঘরে দীর্ঘক্ষণ কয়েল জ্বালানোর ফলে বাচ্চাদের স্বাশকষ্টসহ শারীরিক নানান ধরনের সমস্যার দেখা দিতে পারে।
এদিকে নগরীর সচেতন নাগরিকরা দাবী করেন দ্রুত মশক নীধন না করা গেলে সাধারন মানুষকে ঘরে আটকে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।এক্ষেত্রে গাজীপুর সিটিকর্পোরেশনকে দ্রুত বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান।