মোঃআল-আমিন ,টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের টঙ্গীতে ডাক্তারের ভূলে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।টঙ্গীর স্টেশন রোডে অবস্থিত ফাতেমা জেনারেল হাসপাতালের মালিক ডা. ফাতেমা দোলনের বীরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে নবজাতকের স্বজনরা।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৪-০৪-২০২০ ইং) রাত ১২ টার দিকে টঙ্গীর পাগার নিবাসী শেখ আমির হোসেন তার স্ত্রী প্রসূতি শারমিনের (২১) প্রসব ব্যাথা উঠলে স্বজনদের সহযোগিতায় টঙ্গী স্টেশন রোডে অবস্থিত( বেসরকারি ) ফাতেমা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এসময় হাসপাতালে কোন ডাক্তার না থাকায় কর্তব্যরত নার্স হাসপাতালের মালিক ও সার্জন ডা.ফাতেমা দোলনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি একটি ইনজেকশন দিয়ে ভর্তি রাখার কথা বলেন।
পরদিন শনিবার সকাল ৯.৩০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে আসেন ডা. ফাতেমা দোলন।এসেই প্রসূতি শারমিনকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অপারেশন শুরু করে।প্রায় এক ঘন্টা পর প্রসূতির স্মামীকে ডেকে বলে বাচ্চা ময়লা খেয়ে ফেলেছে।অবস্থা ভালো নয় চাইলে আপনারা রোগীকে অন্য কোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন।ডা.এমন কথায় ঘাবরে যায় প্রসূতির স্বজনরা।
শেষ চেষ্টাটুকু করার জন্য ডা.কে বলেন।এর কিছুক্ষণ পরে তাদের জানানো হয় নবজাতক মারা গেছে।
নবজাতকের মামা হাবিবুর রহমান জানান,আল্ট্র্স্নোগ্রাম করে কেনো আমাদের জানানো হলো না যে নবজাতকের পজিশন কি?এক ঘন্টা পরে কেনো আমাদের জানানো হলো বাচ্চা ময়লা খেয়ে ফেলেছে?এক ঘন্টানতারা কি করেছে অপারেশন রুমে?তখন কেনো বলা হলো অন্য হাসপাতালে নিতে? পেটের ভেতরে বাচ্চা কিভাবে ময়লা খায়? তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন,বাচ্চা সুস্থ ছিলো চিকিৎসকের ভূলের কারনেই দুনিয়ার মুখ দেখতে পারেনি নবজাতক।
তিনি আরও বলেন,আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে চাই কেনো বাচ্চা মারা গেলো? প্রসূতির অবস্থা ভালো নয়,এজন্য বাচ্চা মারা যাবার বিষয় তাকে এখন জানানো হয়নি।
ঘটনায় অভিযুক্ত ডাক্তার ফাতিমা দোলন বলেন, কোন ডাক্তার কি চায় কেউ মারা যাক প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেনি।