মোঃআল-আমিন ,টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের টঙ্গীতে ছাত্র নেতা কাজী মঞ্জুর নেতৃত্বে ধানকাটা চলছেই।ধারাবাহিকভাবে কৃষককে সহযোগিতা করার দৃশ্য এদেশে এটিই প্রথম বলছে সাধারন মানুষ।দেশে ছাত্র নেতাদের এমন উধযোগ প্রশঙসা কুড়াচ্ছে সব মহলে।
জানাগেছে,করোনা সংকটের মধ্যেই পাঁকা শুরু করে কৃষকের ধান।সারা দেশে অঘোষিত লকডাউন চলাকালে কৃষকের মাথায় হাত পরে।কোথাও পাওয়া যাচ্ছিলো না কৃষক শ্রমিক।এদিকে ধান কাঁটতে না পাড়লে জমিতেই ঝড়বে ধান অথবা পানিতে তলিয়ে যাবে।এমন দুঃশ্চিন্তায় প্রহর কাটছিলো টঙ্গীর কযেকজন বর্গা চাষির।
ঠিক সেই মুহুর্তেই মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মত করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন টঙ্গী কলেজের সিনিয়র ছাত্র নেতা কাজী মঞ্জুর।প্রতিশ্রুতি দেন সর্বাক্তক সহোযোগিতার।
তারই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের (এপ্রিল) ২২থেকে প্রতিদিনই ভোর থেকে টঙ্গী কলেজের বেশ কিছু ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে নেমে পড়েন ধান কাটতে।ধান কাটা বাড়িতে পোঁছে দেযা ও মাড়াই কাজও করছেন এই ছাত্র নেতা।বোর থেকে সন্ধা পর্যন্ত করছেন কাজ বিনা পারিশ্রমিকে।
এবিষয়ে কাজী মঞ্জুর জানান,দেশের ক্রান্তিলগ্নে আমাদের মত ছাত্র সমাজ যদি দেশের পামে না দাঁড়ায়!তবে দেশ থমকে যাবে।প্রবল দেশপ্রেম আর ইচ্ছা শক্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। দেশে হয়তো এমন অবস্থা বেশি দিন থাকবে না।এই সময়ে কৃষকের পাশে না দাঁড়ালে দেশে কাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।কৃষক কৃষি কাজের উপর আস্থা হাড়াতে পারে।তাই নিজ দেহে পরিশ্রম করে দাঁড়িয়েছি বেশ কিছু বর্গা চাষির পাশে।যত দিন ধান কাটা শেষ না হবে ততদিন কৃষকের পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাবো।
বর্গা চাষী সুমন জানান, ধান নিয়ে বড়ই দুঃশ্চিন্তায় পড়েগিয়েছিলাম।কি করবো ভেবে পাচ্চিলাম না।একদিকে বর্গা চাষ করি অপর দিকে ধান কাটতে শ্রমিক পাচ্ছিলাম না।এমন সমস্যায় যখন ভুগছিলাম ঠিক তখনই আমার পাশে এসে দাঁড়ান টঙ্গী কলেজের ছাত্র নেতা কাজী মঞ্জুর।তিনি কথা রেখেছেন ধান কাটা থেকে শুরু করে মাড়াই পর্যন্ত করে দিয়েছেন।
দেশে এমন ছাত্র নেতা আরও প্রয়োজন।আমি খুব খুঁশি ওনাদের সাহায্য পেয়ে।
টঙ্গী কলেজের শিক্ষকরা জানান,কাজী মঞ্জুরনআমাদের টঙ্গী কলেজের একটি সম্পদের নাম।তার এমন কর্মকান্ডে আমরা গর্বিত।তাররজন্য আমাদের পক্ষ থেকে শুভকানা রইলো।
টঙ্গীর সচেতন মহল মনে করেন, কাজী মঞ্জুর এমন নেতৃত্ব বজায় থাকলে তাকে দেখে৷ দেখে তরুন সমাাজ অনেক কিছু শিখবে।আমরা চাই এমন ছাত্রে নেতা ঘরে ঘরে জন্ম নিক।