
আরিফ রববানীঃ
৬৮হাজার গ্রাম বাঁচলে, বাংলাদেশ বাঁচবে ” বাংলাদেশ কে বাঁচাতে হলে বাংলার কৃষককে বাঁচাতে হবে।
পল্লীবন্ধু মরহুম আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের মহিয়সী নারী জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপির পক্ষ থেকে ময়মনসিংহে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে কৃষককের শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় ধান কেটে দিতে মাঠে নেমেছেন ময়মনসিংহ জেলা পল্লীবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক রুবেল আলী এসডি রুবেল ও যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে স্বপন,আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে পল্লীবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
নভেল করোনা ভাইরাস (কভিট-১৯) এর সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশ মতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পরেছেন হাজারো কৃষক, দিনমজুর ও অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ। এদিকে কৃষকের রোপনকৃত বোরো ধান এরইমধ্যে পাকতে শুরু করছে। অপরদিকে দেশের অনেক জেলা উপজেলায় কালবৈশাখীর ছোবলে ক্ষতির সমূখীন হয়ে পড়েছেন কৃষক। উৎপাদিত সোনালী ফসল ঘরে তুলতে দু:চিন্তায় আছেন দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি এ কৃষক সমাজ। বিশেষ করে ছোট-মাঝারী শ্রেণীর কৃষক ও বর্গা চাষীদের চিন্তার কোন অন্ত নেই।
এমতাবস্থায় জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপির নির্দেশনা অনুযায়ী ময়মনসিংহের বিভিন্ন জায়গায় দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে মাঠে নেমেছে পল্লীবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ । এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ জেলা পল্লীবন্ধু পরিষদের আহবায়ক রুবেল আলী এসডি রুবেল ও যুগ্ম আহ্বায়ক একে স্বপন ও আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীদের নিয়ে অসহায় কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।
২৭এপ্রিল সোমবার এ কাজের প্রথম দিনে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার জিগাতলা ভাটি বারেরা এলাকার শেখ বাড়ীর বর্গা চাষী আবুল হাসেম এর জমির ধান কেটে আটি বেধে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন পল্লীবন্ধুর আদর্শ নিয়ে গঠিত পল্লীবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
ছোট-মাঝারী শ্রেণীর এই কৃষকের ধান কাটা, আটি বাধা ও বাড়িতে পৌঁছে দিতে পল্লীবন্ধু পরিষদের আহবায়ক রুবেল আলী সাথে শারীরিক শ্রম দিয়ে অসহায় কৃষকদের সহায়তা করছেন তাদের মধ্যে
আরও ১০-১২ জন অনুসারী ।
পল্লীবন্ধু পরিষদের আহবায়ক রুবেল আলী এই প্রতিনিধি কে জানান, কৃষক বান্ধব সরকারের মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতা পল্লীমাতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি। পল্লীমাতার নির্দেশনায় পল্লীবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা অসহায় কৃষকদের বোরো ধান কাটা ও বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।
পল্লীমাতার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে দিতে মাঠে নেমেছি। তিনি বলেন-জিগাতলা ভাটিপাড়া এলাকার শেখ বাড়ীর কৃষক আবুল হাসেমের ক্ষেতের ধান কাটার মাধ্যমে আমরা এই মিশন শুরু করেছি। ময়মনসিংহ জেলার যে কোন এলাকার দরিদ্র কৃষক যদি শ্রমিক সংকট ও দারিদ্রতার কারনে তাদের জমির ধান কাটতে সমস্যায় পড়েন, তাহলে আমরা পল্লীবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা ওই সকল কৃষকের জমির ধান কেটে তাদের বাড়ি পৌঁছে দিতে সদা প্রস্তুত আছি। তাদের এ ধানকাটা কর্মসুচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
দরিদ্র কৃষক জমির বর্গাচাষি আবুল হাশেম আলী আবেগ জড়িত কন্ঠে বলেন, পল্লীবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীদের সহায়তায় জমির পাকা ধান ঘরে তুলতে পেরে তিনি খুব খুশি ও স্বস্থি ফিরে পেয়েছেন। তিনি আরও জানান, আজ যদি রুবেল ভাইয়ের নেতৃত্বে তাদের ধান কেটে না দিতেন তাহলে হয়তোবা ধান মাঠেই থেকে যেতো। আমি ক্ষেতের পাকা ধান কাটা নিয়ে খুব দু:চিন্তায় ছিলাম। হঠাৎ রুবেল ভাইয়ের সাথে একদল ছেলে আমার ক্ষেতের ধান কেটে দেয়ার কথা বললে আমি প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরে তাদের কথায় রাজি হওয়ায় তারা জমির পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেন। তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন তারা। তবে এর বিনিময়ে তাদেরকে কিছু খাওয়াতেও পারিনি।
এবছর একদিকে করোনা ভাইরাস এবং অন্যদিকে আগাম কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ার আশংকায় খুব দু:চিন্তাগ্রস্থ থাকায় পল্লীবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীদের সহায়তায় ক্ষেতের ধান ঘরে তুলতে পেরে খুবই খুশি হয়েছেন কৃষক হাসেম । দূর্যোগকালীন সময়ে এমন সহায়তার হাত বাড়ানোর জন্য জাতীয় তরুণ পার্টির নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা ও দোয়া জানান অসহায় সুবিধাভোগী এ সকল কৃষক।