ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও ময়মনসিংহের সাবেক আকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক জনপ্রিয় মেম্বার,ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম হোসেন হামিদকে নবগঠিত ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ডের ত্রাণ কমিটিতে স্থান দেওয়ায় তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পুর্বশত্রুতার আক্রোশে কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ায় আকুয়ার আওয়ামী রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশার দেখা দিয়েছে। আওয়ামিলীগের ভাবমুর্তিকে ক্ষুন্ন করতেই হামিদ মেম্বারের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে এমন মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে দাবী উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
এমন মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিলম্বে মিথ্যুকের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তি বর্গরা।
আকুয়াবাসীর মতে-হামিদ মেম্বার জন্মগত ভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত এক বীর সৈনিকের সন্তান। যার বাবা মরহুম চাঁন মিয়া মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহীনীদের হাতে নির্মম নিহত হন। তার বড় দুই ভাই দেশে অন্যায় দুর্ণীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে আপোষহীন কলম যোদ্ধা সাংবাদিক। তার মধ্যে অন্যতম জালাল উদ্দীন রুমী সাপ্তাহিক ইনকোয়ারী রিপোর্ট পত্রিকার সম্পাদক ও আরেক ভাই হাফিজুর রহমান হেলাল ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত আল মিনার পত্রিকার সম্পাদক। যে পরিবারের প্রতিটি সদস্য অন্যায়-অত্যাচার ও দুর্ণীতির বিরুদ্ধে আপোষ হীণ ভাবে ঝুকি নিয়ে জনকল্যাণে কাজ করছে। হামিদ মেম্বার নিজেও আকুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার হিসাবে দক্ষতা ও সুনামের সহিত কাজ করে আকুয়ার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কে এগিয়ে নিয়েছে। দীর্ঘ দায়িত্বে যার বিরুদ্ধে কোন কলঙ্ক নেই, এমন একজন দেশপ্রেমিকের বিরুদ্ধে এমন একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে অভাক হয়েছে আকুয়ার জনগণ। আকুয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান-মেম্বার হামিদ সাবেক আকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিএনপি-জামাত জোটের নির্যাতনের শিকার হন একাধিকবার। তিনি যে সময় আওয়ামিলীগের কমিটিতে ছিলেন সে সময় ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি পদে জিন্নত আলী ফরাজী ও সাধারণ সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল ওয়াদুদ বাবুল দায়িত্বে ছিলেন। আওয়ামীলীগের একজন পরীশ্রমী ও এক্টিভ কর্মী হিসাব তাকে সাবেক ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও তার ছোট ভাই মরহুম আফাজ উদ্দিন সরকার তাদের পরিবারের অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসাবে তাকে মুল্যায়ন করতেন। আকুয়ার সাধারণ মানুষের মতে- সম্প্রতি তাকে ২৮নং ওয়ার্ডের ত্রাণ কমিটির আহবায়ক করায় যেসব স্বার্থপর রাজনৈতিক বসন্তের কোকিলরা হামিদ মেম্বারকে বিএনপি-জামাতের পেতাত্মা হিসাবে মন্তব্য করে ফেইসবুকে পোস্ট করে তার মানহানি করার চেষ্টা করছেন তাদের কাছে প্রশ্ন করে আকুয়াবাসী বলেন-আপনারা কি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান স্যারের চেয়ে সক্রিয় আওয়ামী লীগ? আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান স্যার ও মরহুম আফাজ উদ্দিন সরকার যাকে সবসময় কাছে রেখেছে তাকে কি করে, কোন সাহসে বিএনপি-জামাতের মন্তব্য করলেন?
হেফাজতের আন্দোলনে যার মটর বাইক ভাংচুর হয়েছে,বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যিনি ঘরে থাকা মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছেন নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগেে।
আকুয়াবাসী মেম্বার হামিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।