কোভিড-১৯ মহামারীতে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ঢাকা – ময়মনসিংহ মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এএসপি ও ত্রিশাল থানার ওসি গার্মেন্টস কর্মী ও শ্রমিকদের ইট পাটকেল নিক্ষেপে আহত হয়েছেন।
জানাযায়,সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে এএসপি স্বাগতা ভট্রাচার্য্য মৌ ও ত্রিশাল থানা অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশাল থানা পুলিশ ঢাকা ময়মনসিংহ মহা সড়কে অন্য জেলার যাত্রীবাহি যান চলাচলে বাধা দেয়।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বৈলর বাজারে অটো রিকসা পিকআপ ভ্যান চালক শ্রমিকরা ও ঢাকাগামী গার্মেন্টস কর্মীরা জোড়ো হয়ে বৈলর মোড়ে রাস্তায় ব্যরিকেট দেয়। এসময় পুলিশ গামেন্টস কর্মীদের মাস্ক ব্যবহার করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়ী ফিরে যাওয়ার কথা বললে বিক্ষুদ্ধ গামেন্টস কর্মী ও শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর ই্ট পাটকেল নিক্ষেপ করে। বিক্ষুদ্ধ গামেন্টস কর্মীও শ্রমিকদের ছোড়া ইট পাটকেল নিক্ষেপে এএসপি ত্রিশাল সার্কেল স্বাগতা ভট্রাচার্য্য মৌ ও ত্রিশাল থানা অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান আহত হন।
আহত এএসপি ত্রিশাল সার্কেল স্বাগতা ভট্রাচার্য্য মৌকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে আসেন । ত্রিশাল থানার আজিজুর রহমানকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান জানান- জিবন ঝুঁকি নিয়ে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য এএসপি সার্কেল স্যারের নেতৃত্বে আমরা সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কাজির শিমলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অন্য জেলা উপজেলা হতে যাতে যান বাহনে অতিরিক্ত যাত্রী চলাচল না করতে পারে সে জন্যে টহল দিচ্ছিলাম। সম্মুখ বৈলর সিএনজি অটো রিক্স্রা শ্রমিকরা ও ঢাকাগামী গামেন্টস শ্রমিকরা মহাসড়ক ব্যরিকেট দিলে আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনে বাড়ীতে চলে যাওয়ার কথা বললে বিক্ষুদ্ধ গামেন্টস কর্মী ও শ্রমিকরা ইট পাটকেল ছোড়ে আমাদের আহত করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটো শ্রমিক জানান-মহাসড়কে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ট্রাক চলাচল করছে আমরা যাত্রী নিয়ে গেলে অপরাধ কোথায় । আমরা কিভাবে সংসার চালাবো । এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান পিপিএম জানান, পুলিশ অফিসাররা তেমন আহত হয়নি,এখন ভাল আছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।