স্টাফ রিপোর্টার:
সারা দেশে করোনার মহামারী আকার ধারন করেছে, তাই কর্মহীন
হয়ে পড়েছে অনেকেই ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা
ইউনিয়নের বিষমপুর গ্রামে বোনের বাড়িতে বসবাস জহুরার। জহুরার
বাবার বাড়ি একই ইউনিয়নের ধেরুয়া কড়েহা (লোনাপাড়া)গ্রামের
মৃত আমজত আলীর মেয়ে। আমজত আলী এক সময়ের প্রচুর ধন
সম্পদের অধিকারী ছিলেন। আমজত আলী মারা যাওয়ার পর দুইটি
ছেলে ও তিনটি কন্যা সন্তান রেখে যান, ছেলে সন্তান আব্দুল
বারেকও আব্দুস সাদেক দুই ভাই মিলে তিন বোনকে বিয়ে দেন
বিভিন্ন জায়গায় দুই ভাই মিলে সকল সম্পত্তি বিক্রি করে ছলে
গেলেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নন্দীপুর গ্রামে
শ্বশুর বাড়িতে যেখানেই জীবনযাপন করতেন তারা। গত দুই বছর আগে
সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। সকলের বড় বোন চান্দের মার বিয়ে হয়
নেত্রকোনা সদর উপজেলার দঃক্ষিন বিশিউড়া ইউনিয়নের লামছড়ী
গ্রামে তিনি বর্তমানে জীবিত নেই। অন্য এক বোনের বিয়ে হয়
মাওহা ইউনিয়নের বিষমপুর গ্রামে।সবার ছোট বোন জহুরার বিয়ে
হয় ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলায় কপিল উদ্দিন নামে এক
ব্যক্তির সাথে। বিয়ের পর এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় জহুরা, তারপর
স্বামী কফিল উদ্দিন জহুরাকে রেখে পালিয়ে যায় এখন পর্যন্ত দেখা
হয়নি স্বামীর সাথে সে জীবিত আছে না মারা গেছে তাও জানা
নেই জহুরার। ছেলে সন্তানের নাম রাখেন লিটন মিয়া,। ছেলেকে লালন
পালন করতে মানুষের বাড়িতে ভিক্ষা করতে হয় ভুমিহীন জহুরার ভাগ্যে
নেমে আসে হতাশা, অবশেষে ভুমিহীন জহুরার জায়গা বোনের
বাড়িতে। জহুরা খাতুন জানান আমি কোন সরকারী সুবিধা
পাইনি কেউ আমাকে কোন ধরনের সাহায্য দেয়নি