স্টাফ রিপোর্টারঃ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলাধীন নবীনগর (কাঁঠালতলা ম্যাচেরঘাট) এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে বিলকিস বেগম নামে এক প্রসূতিকে মারধরের ঘটনায় জন্মের পর নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া।
এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল ৫ জনকে আসামী করে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন গৃহবধু বিলকিছের শ্বশুড় মতিয়ার রহমান।
তবে ঘটনাটির সুএপাত হয়েছে গত ২২ এপ্রিল উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের নবীনগর এলাকার কাঠালতলা ম্যাচেরঘাট গ্রামে।
এ ঘটানায় অভিযুক্তরা হলেন, নবীনগর এলাকার কাঠালতলা ম্যাচেরঘাট গ্রামের শামসুল হকের ছেলে তৈয়ব আলী (৩০), মৃত খচমুদ্দিনের ছেলে মজিবর রহমান (৬৫), মৃত সহির উদ্দিনের ছেলে শামসুল হক (৬২), শামসুল হকের স্ত্রী তহিয়া বেগম (৫০) ও তৈয়ব আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৪)।
জানা গেছে, মতিয়ার রহমান ও অভিযুক্ত শামসুল হক দুজনে সৎ ভাই। দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে।মিমাংসার জন্য একাধিকবার স্থানীয় ভাবে শালিসি বৈঠক হলেও সমাধানে পথ কখনও আলোর মুখ দেখিনি এমনটাই জানিয়েছেন অনেকেই ।
এ মতাবস্থায় গত ২২ এপ্রিল মতিয়ার রহমানের দখলে থাকা ২শতক জমিতে জোড় পূর্বক বাঁশের চারা রোপনের চেষ্টা করে শামসুল হক গংরা।এ সময় মতিয়ার রহমান বাধা দেওয়ায় তার উপর এলোপাথারি হামলা করা হয় । তার আত্মচিৎকারে বাড়িতে থাকা গর্ভবতী পুত্রবধূ বিলকিছ ছুটে এসে তাকে বাচানোর চেষ্টা করে। কিন্ত অভিযুক্তরা ওই গর্ভবতী গৃহবধুকেও এলাপাতারি মারধর শুরু করে। এছাড়া তার পেটেও লাথি মারে। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করারন। এমতাবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গর্ভবতীর সন্তান প্রসব করে। কিন্তু নবজাতকের অবস্থা খারাপ হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল নবজাতক শিশুসন্তানটি মৃতুবরণ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর থেকে অভিযুক্তরা পালাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার মহন্ত বলেন, থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আইনগত পদক্ষেপ চলমান রয়েছে ।