মো. সাইফুল ইসলাম তরফদার,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবা তত্তাবধায়ক সেলিনা আক্তারের
বিরুদ্ধে করোনার সময়ে তার সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় চরম অব্যবস্থাপনাসহ
বিভিন্ন অনিয়ম ও নার্স কর্মকর্তাদের হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। করোনা
পজেটিভ নিয়ে মচিমহা (ডিসিইসি) এডুকেশন স্টেন্টারে আইসোলেশনে
থাকা রেজুয়ানা আফরিন শাওলাসহ এখানকার ১১জন নার্স কর্মকর্তা সেবা
তত্ত¡াবধায়কের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। সেখানে এই তত্ত¡াবধায়ক
সেলিনা আক্তারের কারণে সেবিকারা নিজেরাই চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্জিত
হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, প্রাণঘাতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩ দিন ধরে আইসোলেশনের
থাকা নার্স কর্মকর্তারা চরম অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। সেখানে সেবা
তত্ত¡াবধায়ক সেলিনা আক্তার সার্বিক দায়িত্বে থাকলেও তিনি কোন খোঁজ খবর
নেন না। এমনকি প্রকৃত তথ্যটিও উর্ধ্বতনদের জানানো হয় না। নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক আক্রান্ত একজন রোগি জানান, থাকা-খাওয়া অসুবিধাসহ
সার্বক্ষনিক খোঁজ নেয়ার কথা থাকলেও ঐ সেবা তত্ত¦বধায়ক তার করছেন না। ফলে
সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আমাদেরকে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।
জানাগেছে, সেবা তত্ত¡াবধায়কের বিরুদ্ধে বার বার অবহেলা, দুর্নীতি ও নানা
অনিয়মের কারণে তাকে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
শাখার সভাপতি মোঃ লুৎফুর রহমান বলেন, মচিমহা’য় নার্স কর্মকর্তরা করোনায়
আক্রান্ত হওয়ার পিছনে একমাত্র সেবা তত্ত¡াবধায়কের গাফিলতি। এদের কোন
খোঁজ-খবর রাখছে না। কোন নার্স যদি বিপদগ্রস্ত হয় এর দায়-দায়িত্ব সেবা
তত্ত¡াবধায়কে নিতে হবে।
নার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমা খাতুন বলেন, আমাদের সেবা
তত্বাবধায়ক, নার্স কর্মকর্তাকে কোন খোঁজ-খবর না নেয়ার বিষয়টি খুবই
লজ্জাজনক। আমাদের বর্তমান পরিচালক মহোদয়ের উপর নার্স কর্মকর্তারা সন্তোষ্ট।এ ব্যাপারে সেবা তত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার বলেন, বর্তমানে আমি করোনা
যুদ্ধে আছি। কতগুলো নার্স কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত সঠিক তথ্য আমার
কাছে নেই। আমি শাওলাকে ক্যান্টিন থেকে খাবার পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে উপ-পরিচালক ডাঃ লক্ষি নারায়ন মজুমদারকে একাধিকবার মুঠোফোনে
যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।