খায়রুল আলম রফিকঃ
ময়মনসিংহ শহরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকার জনৈক সোলায়মান বাসার ভাড়াটিয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম গত ১ মে ভোর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তি কর্তৃক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মৃত্যুবরণ করে। এই বিষয়ে নিহতের পিতা মোঃ সাইকুল ইসলাম এর অভিযোগের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানার মামলা নং-০২, ধারা-৩০২ পেনাল কোড রুজু হয়।
নিহত ব্যক্তি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান পিপিএম তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জেলার গোয়েন্দা শাখা ওসি ও ৩ নং পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ দুলাল আকন্দকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে সংঘটিত ঘটনাটি চুরি সংক্রান্ত প্রতিয়মান হওয়ায় ডিবি এবং ৩ নং পুলিশ ফাঁড়ি যৌথ অভিযানের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মূল ঘাতক মোঃ আশিকুজ্জামান আশিক (২৭), পিতা মৃত-সোহেল মিয়া, মাতা-মোছাঃ আনোয়ারা বেগম আনু, সাং- বাসা নং-১৯২, গোহাইলককান্দি(জামতলা মোড়), প্রযত্নে-সেকান্দর মিয়া, পিতা-লাল মিয়া, সাং-ঐ, উভয় থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উক্ত আসামী একজন এলাকার পেশাদার চোর ও মাদক সেবী। ঘটনার ২ দিন আগে ভিকটিম তৌহিদের সাথে তার ভাড়াটিয়া বাসার গলি রাস্তার মাথায় রমজান মাসে সিগারেট খাওয়া নিয়ে ভিকটিম তার মোবাইল হাতে নিয়ে শ্বাসাইতে থাকে এবং উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ড হয়। তখন থেকেই সে মোবাইলটি নেওয়ার জন্য লোভ হয়। ভিকটিম বাসায় গেলে সে পিছনে পিছনে বাসায় গিয়ে তার রুম দেখে আসে। ঘটনার দিন রাত অনুমান ০৩.০০ ঘটিকায় সে বাসার ছাদ দিয়ে মোবাইল চুরি করতে আসলে, ভিকটিম তাকে ধরে ফেলে। উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পাশে থাকা রড দিয়ে ভিকটিমকে আঘাত করে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। ইং ০৩/০৫/২০২০ তারিখ বিকাল আসামীকে আকুয়া বোর্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেখানো মতে হত্যাকান্ডের সময় পরিহিত রক্তমাখা প্যান্ট এবং গেঞ্জি গাজীপুর শ্রীপুর এমসি বাজার হতে এবং ইং ০৪/০৫/২০২০ তারিখ পুকুর হতে রড উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, ঘাতক কে বিভিন্ন সময় কামাল নামের এক ব্যক্তি আশ্রয় দিতো।