Header Image

ময়মনসিংহে তৌহিদুল হত্যাকান্ডে খুনী আশিক গ্রেফতারে, পুলিশ সুপারের সংবাদ সন্মেলন

মফিদুল ইসলাম লাভলুঃ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম হত্যা ঘটনায় জড়িত কথিত খুনী অাশিকুজাজামান ওরফে অাশিককে গ্রেফতার ও অাদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধীর প্রেক্ষিতে ৪ মে বিকালে পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ এক সংবাদ সন্মেলন করেন ময়মনসংহ জেলা পুলিশ সুপার অাহমারউজ্জামান।
সংবাদ সন্মলনে এসপি অাহরামউজ্জামান বলেন, ঘটনার দুদিন অাগে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে তৌহিদুলের সাথে অাশিকের কথাকাটি হয়। অাশিক দীর্ঘদিন যাবৎ তৌহিদুলের দামী মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল। এ ব্যাপারে মারা যাবার অাগে তার এক বন্ধুকে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে বিস্তারিত জানায় বলে সংবাদ সন্মলেন জানান পুলিশ সুপার অাহমারউজ্জামান।
তিনি অারো বলেন ঘটনার রাতে তৌহিদু্লের মোবাইলটি
চুরি করার জন্য সে পাশ্ববর্তী টিনের বাড়ীর উপর দিয়ে দোতলায় উঠে তৌহিদুলের ঘরে ঢুকে।মোবাইলটি চুরি করার বিষয়টি টের পেয়ে তৌহিদুল অাশিককে ঝাপটে ধরে। এ সময় তৌহিদুলের ঘরে থাকা একটি লোহার রড তার বুকে ও অন্যান্য স্থানে অাঘাত করে।তার চিৎকারে মেসের মালিক বের হয়ে এলে অাশিক দোতলা দিয়ে পালিয়ে যায়। অাহত তৌহিদুলকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে সে একটি জবানবন্দী দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। গত ১ লা মে সেহরির সময় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নগরে অাতংক দেখা দিলে ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অাল অামিনের নেতৃত্বে যৌথভাবে তদন্তে নামে। পরে গতকাল রবিবার তাকে অাকুয়া বোর্ড ঘর থেকে রাত ৩ টায় তাকে ওসি ডিবির নেতৃত্বে পরিদর্শক দুলাল অাকন্দ ফারুক অাহমদ,এসঅাই মলয় চক্রবর্ত্তী ,মনিরুজ্জামান, অানোয়ার হোসেন, দেবাশীষ সাহা সঙ্গীয় ফোর্স সহ তাকে অাটকে সমর্থ হয়।অাজ সোমবার তাকে অাদালতে তুলা হলে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।সংবাদ সন্মেলনে আরোও উপস্হিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অাল অামিন,হুমায়ুন কবীর,মোঃ শাহজাহান, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম,জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ (ডিবি ওসি) শাহ কামাল আকন্দ, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!