Header Image

সাংবাদিকদের মুক্তি চেয়ে রাস্তায় সহকর্মী।

 

স্টাফ রিপোর্টার:

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে ৫ জন সাংবাদিক কারাগারে। এর প্রতিবাদে ‘নরসিংদীর তিন সাংবাদিকের মুক্তি চাই’ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে একাই রাস্তায় দাঁড়ালেন ত্রিশাল রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক বাংলাদেশের খবর পত্রিকার ত্রিশাল উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ কামাল হোসেন। আজ সোমবার দুপুর ১২ টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মোঃ কামাল হোসেন সহকর্মীদের মুক্তি ও সারাদেশে সাংবাদিকদের নামে দায়ের করা মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার চেয়ে সড়কে অবস্থান নেন। সম্প্রতি নরসিংদীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৪ সাংবাদিকের মধ্যে তিন সাংবাদিককে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর সাংবাদিক ‘ভয়েজবিডি২৪’ এর সম্পাদক কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল সম্প্রতি চাল চুরির ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন নরসিংদী পুলিশ।

এবিষয়ে ময়মনসিংহের সিনিয়র সাংবাদিক ও ত্রিশাল রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে তিনজন সাংবাদিক কারাগারে। দিন দিন সাংবাদিকতার কন্ঠ রুদ্ধ করা হচ্ছে। তাই দ্রুত ওই তিনজন সাংবাদিককে মুক্তি ও সারাদেশের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, নরসিংদীতে ৪ জন সাংবাদিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এটা সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরুপ। সংবাদ কারো বিরুদ্ধে গেলেই তার বিরুদ্ধে মামলা, হামলাসহ নানাভাবে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে লকডাউন থাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে একাই সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে দাঁড়িয়েছি। আমার মতো অন্যান্য সংবাদকর্মীরাও যার যার জায়গা থেকে প্রতিবাদ জানাবেন বলে আশা রাখি।

উল্লেখ্য, দৈনিক গ্রামীণ দর্পণ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রমজান আলী প্রামাণিক, সাংবাদিক শান্ত বণিক এবং অনলাইন পোর্টাল নরসিংদী প্রতিদিনের প্রকাশক ও সম্পাদক এবং দৈনিক খোলা কাগজের নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি খন্দকার শাহিন এবং ‘ভয়েজবিডি২৪’ এর সম্পাদক কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিলকে আসামী করে নরসিংদীর মনোহরদী থানায় মামলা হয়। গত শুক্রবার রমজান আলী, শান্ত বণিক, খন্দকার শাহিন তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পলাশ থানায় নেয়া হয়। এরপর বিশেষ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (বনেক) এর সভাপতি খায়রুল আলম রফিক বলেন, অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় সরকারের ভূমিকা অনেকটাই নীরব। কিন্তু গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন জরুরি। এ অবস্থায় অবিলম্বে অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের ওপর সংঘটিত সব হামলা-নির্যাতনের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!